Advertisement
০৫ মে ২০২৪

সিপিএম-ই ‘শত্রু’, বলল তৃণমূল

দু’বছর আগে লোকসভা নির্বাচনে সল্টলেকে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে এগিয়ে ছিল বিজেপি। বছর দুয়েকের মধ্যে ছবিটা বদলে গিয়েছে। শাসক তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ এখন সিপিএম। বুধবার তাঁদের প্রথম নির্বাচনী কর্মিসভায় তা পরিষ্কার করে দিলেন তৃণমূল নেতামন্ত্রীরাই।

চেয়ার যত, লোক তার চেয়ে ঢের কম। বুধবার, সল্টলেকে তৃণমূলের কর্মিসভায়। —নিজস্ব চিত্র।

চেয়ার যত, লোক তার চেয়ে ঢের কম। বুধবার, সল্টলেকে তৃণমূলের কর্মিসভায়। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০১:১০
Share: Save:

দু’বছর আগে লোকসভা নির্বাচনে সল্টলেকে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে এগিয়ে ছিল বিজেপি। বছর দুয়েকের মধ্যে ছবিটা বদলে গিয়েছে। শাসক তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ এখন সিপিএম। বুধবার তাঁদের প্রথম নির্বাচনী কর্মিসভায় তা পরিষ্কার করে দিলেন তৃণমূল নেতামন্ত্রীরাই।

এ দিন সল্টলেকের এফডি পার্কে বিধাননগর পুরনিগমের প্রথম নির্বাচনী কর্মিসভা ছিল। তৃণমূল নেতাদের দাবি, শুধু ৩২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়েই সভা ছিল। ওয়ার্ড দু’টিতে লড়ছেন বামেদের মেয়র পদপ্রার্থী প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত এবং রমলা চক্রবর্তী। অনেকের মতে, ওই এলাকায় সভাস্থল নির্বাচন করে বামেদের প্রাধান্যকে কিছুটা স্বীকৃতি দিল শাসক দল। সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, দলের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় তুলোধোনা করলেন বামেদের। তুলনায় নেহাতই বুড়ি ছোঁয়ার মতো করে বিজেপি এবং কংগ্রেসের সমালোচনা করেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

শাসক দলের শীর্ষ স্তরের নেতাদের কথায়, অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন যে মানুষটি রাজ্যকে দেউলিয়া করেছিলেন, যাঁকে জনগণ লোকসভা ও বিধানসভায় প্রত্যাখ্যান করেছেন, তাঁকেই সামনে রেখে বামেরা লড়তে নেমেছে। মেয়র বলেন, ‘‘যিনি গোটা রাজ্যকে বরবাদ করেছেন, তাঁকে বিধাননগরের মানুষ বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করবে।’’

পরে জবাবে অসীম দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘বাম সরকার চলে যাওয়ার সময়ে যে ঋণের কথা বারবার তৃণমূল বলছে, তা নিয়ে একাধিক বার বলেছি। কী ভাবে কেন্দ্রীয় সরকার ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে রাজ্যের উপরে, তা-ও বলেছি। সে সময়ে ওঁরাই কেন্দ্রে ছিলেন। উত্তর দেওয়ার দায় তাঁদেরই।’’

নেতারা যাই বলুন না কেন, বিধাননগর পুরনিগমের নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল যে কিছুটা হলেও চাপে, তা তাঁদের বক্তব্যেই স্পষ্ট। খোদ রাজ্য সম্পাদক সুব্রত বক্সী বলেছেন, ‘‘মানুষের ভোট নিশ্চিত করতে রাস্তায় রাস্তায় পাহারা দিতে হবে।’’ নেতাদের আরও নির্দেশ, আত্মতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না।

তবে যে মানুষের উপরে তৃণমূলের এত ভরসা, এ দিনের কর্মী-সমাবেশে সেই মানুষের সাড়া সে ভাবে মেলেনি। এ নিয়ে বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু বলেন, ‘‘কর্মীরা প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রচারে বেরিয়েছেন। এ ছাড়া, কাল থেকে পরপর দু’দিন পুজো রয়েছে। ফলে অনেকে আসতে পারেননি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

CPM Trinamool opposition political party
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE