কে বলবে মাছের বাজার? অন্য দিন সকাল ৯টায় গোরাবাজারের মাছের দোকানে পা রাখা যায় না। আর শুক্রবার সুনসান। পাইকারি বাজার থেকে বড় তোপসে এনেছিলেন বিক্রেতা আনন্দ সাহা। খদ্দেরের দেখা না পেয়ে, বাজারেই পাইকারি দরের থেকে কিছুটা বেশি দামে আর এক ব্যবসায়ীকে বিক্রি করেন। তাঁর কথায়, দু’দিনে বিক্রি কমে গিয়েছে। ঘরে মাছ রেখে কী লাভ!
একই দৃশ্য লেক মার্কেট থেকে গড়িয়াহাট বাজার, মানিকতলা থেকে টালিগঞ্জ। বুধবার থেকে বাজার পড়ছিল। শুক্রবার যেন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। দু’দিন বাজারে ৫০০-র নোট ভাঙিয়ে দিয়ে অনেকে কিছু লাভ করতে পেরেছিলেন। এ দিন দেখা গেল, তাতেও যেন দম হারিয়েছে শহর। আজ-কাল শনি ও রবিবার ভাল ব্যবসার দিন। কিন্তু মানুষের পকেটে এখনও পর্যাপ্ত জোগান না আসায় চিন্তায় ব্যবসায়ীরা।
বাঁশদ্রোণী সুপার মার্কেটের মাছ ব্যবসায়ী বাবু দাস বলছেন, কয়েক দিনে ব্যবসা প্রায় অর্ধেক। ৩০০ টাকার মাছ কিনলে এত দিন ৫০০-র নোট ভাঙিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু মানুষের পকেটেই এখন টান পড়েছে। বাজারে আসবে কী করে!