Advertisement
E-Paper

Death: রাজারহাটে মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারে কামদুনির ছায়া

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীরে ছেঁকার দাগও রয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২২ ০৬:৩৯

প্রতীকী ছবি।

এক মহিলার দেহ উদ্ধারকে ঘিরে বুধবার বিকেলে চাঞ্চল্য ছড়াল রাজারহাটে। সেখানকার পঞ্চায়েত এলাকার একটি মাঠ থেকে ওই মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীরে ছেঁকার দাগও রয়েছে। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেহটি বাঁশবাগানে পড়ে ছিল। মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। অতীতে এই রাজারহাটের কামদুনিতেই ধর্ষণ-কাণ্ড ঘিরে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি।

রাজারহাটের পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে একটি গ্রামের ওই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলা খেতে চাষের কাজে গিয়েছিলেন। দুপুরে বাড়ি ফেরেননি। তাঁকে খুঁজতে বেরিয়ে তাঁর মেয়ে মাঠে মাকে পাননি। বরং দেখতে পেয়েছিলেন রক্তমাখা চুড়ি, চুলের কাঁটা মাঠে ছড়িয়ে পড়ে রয়েছে। তখনই আন্দাজ করেছিলেন, মায়ের কোনও বড় বিপদ হয়েছে।

গ্রামবাসীরা জানান, মেয়ের মুখে খবর শুনে তাঁরা মাঠের দিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কাছের বাঁশবাগান থেকে দেহটি উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন তাঁরাই। পরিবার সূত্রের খবর, প্রতিদিনের মতো এ দিন সকালেও মহিলা মাঠে গিয়েছিলেন চাষের কাজে। সেই সময়ে তাঁর কাছে খাবার পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন মেয়ে। কিন্তু মহিলা দুপুরে বাড়িতে খেতে না আসায় খোঁজ শুরু হয়।

মৃতার পুত্রবধূ জানান, সকালে শাশুড়ির সঙ্গে তাঁর ননদও মাঠে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘ননদ তখন শাশুড়িকে পান্তাভাত দিয়ে এসেছিল। কথা ছিল, দুপুরে উনি বাড়ি ফিরে খাওয়াদাওয়া করবেন। আমরা অনেক ক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও শাশুড়ি না ফেরায় ফের ননদ মাঠে গিয়ে ওঁর খোঁজ করে। মনে হচ্ছে ওঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।’’

মহিলার পরিবার জানিয়েছে, তাঁর মেয়ে মাঠে গিয়ে দেখেন, পান্তাভাত-সহ বাটি পড়ে রয়েছে। বাটির আশপাশে রক্তের দাগ। রক্তমাখা অবস্থায় পড়ে মাথার কাঁটা, হাতের চুড়ি। মায়ের কোনও দুর্ঘটনা ঘটেছে আন্দাজ করেই তাঁর মেয়ে বাড়ি ফিরে চিৎকার করে কান্নাকাটি শুরু করেন। আত্মীয়েরা ছোটেন মাঠে। পাশের একটি বাঁশবাগান থেকে মহিলার হাত-পা বাঁধা দেহ খুঁজে পান পরিবার ও গ্রামের মানুষ। তাঁরা রাজারহাট থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে।

গ্রামবাসীদের সন্দেহ, মহিলা গণধর্ষণের শিকার। যে অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে, তাতে একাধিক ব্যক্তি জড়িত বলে ধারণা তাঁদের। পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উত্তম বিশ্বাস বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে, ঘটনাটি ধর্ষণ। পুলিশকে বলা হয়েছে, যে ভাবে হোক অপরাধীদের খুঁজে বার করতে হবে। আমাদের গ্রাম কিংবা এই চত্বরে এমন ঘটনা এই প্রথম।’’ প্রকৃত ঘটনা কী, সেই সম্পর্কে রাত পর্যন্ত বিধাননগর কমিশনারেটের তরফে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি।

Woman died dead body
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy