Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Kolkata Municipal Corporation

সম্পত্তিকর আদায় বাড়লেও পুরসভার চিন্তা ঘাটতির বোঝা

পুরসভার আয়ের সিংহভাগই আসে সম্পত্তিকর থেকে। জানা গিয়েছে, শহরের একাধিক এলাকায় সম্পত্তিকর আদায়ের পরিমাণ সন্তোষজনক হলেও যাদবপুর ও জোকা এলাকায় তা তলানিতে ঠেকেছে।

Representative Image

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:৩৬
Share: Save:

সম্পত্তিকর আদায়ে কলকাতা পুরসভা নজির তৈরি করলেও ঘাটতির বোঝা থেকেই যাচ্ছে। ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে সম্পত্তিকর বাবদ পুরসভার আদায় হয়েছে ১২১০ কোটি টাকা। ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে যা ছিল ১১২০ কোটি টাকা। পুরসভার অর্থ বিভাগের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, সম্পত্তিকর আদায়ে পুরসভা রেকর্ড তৈরি করলেও আয়ের থেকে ব্যয়ের পরিমাণ বেশি হওয়াটাই তাঁদের কাছে চিন্তার বিষয়। কারণ, পুরসভার বিভিন্ন বিভাগের অধীনে কাজ করা ঠিকাদারদের বকেয়া প্রাপ্য বর্তমানে এক হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে অবসর নেওয়া পুরকর্মীরা অবসরকালীন থোক টাকা এখনও পাননি। যদিও পুর কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, পুরসভা ধীরে ধীরে সমস্ত বকেয়া পরিশোধ করে দেবে।

উল্লেখ্য, পুরসভার আয়ের সিংহভাগই আসে সম্পত্তিকর থেকে। জানা গিয়েছে, শহরের একাধিক এলাকায় সম্পত্তিকর আদায়ের পরিমাণ সন্তোষজনক হলেও যাদবপুর ও জোকা এলাকায় তা তলানিতে ঠেকেছে। পুরসভার ১১ ও ১২ নম্বর বরো মিলিয়ে যাদবপুর এলাকা। পুরসভা থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে ১১ নম্বর বরোয় সম্পত্তিকর আদায় কমেছে বেশ কিছুটা। ১২ নম্বর বরো এলাকায় তা আরও কমেছে। জোকাতেও সম্পত্তিকর আদায় কমেছে আগের তুলনায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গার্ডেনরিচ এলাকায় সম্পত্তিকর আদায় বৃদ্ধির হার সব থেকে বেশি, যেখান থেকে অতি সম্প্রতি ভূরি ভূরি বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ এসেছে। ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে গার্ডেনরিচ থেকে সম্পত্তিকর আদায়ের পরিমাণ ছিল ১০০ কোটি টাকার কিছু বেশি। ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে যা বেড়ে দাঁড়ায় ১১৭ কোটির কিছু বেশি। যদিও পুরসভার সম্পত্তিকর বিভাগের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘গার্ডেনরিচে সম্পত্তিকর বাড়লেও তা আহামরি কিছু নয়। ওই এলাকায় যে পরিমাণ বেআইনি বাড়ি রয়েছে, তাতে এই বৃদ্ধির হারটা নগণ্য। বলতে পারেন, আগের দু’টি পরীক্ষায় কোনও ছাত্র একশোর মধ্যে ২০ এবং ৪০ পেল। কিন্তু তার পাওয়ার কথা ৮০।’’

কর-রাজস্ব বিভাগের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, কর আদায় যে মূল তিনটি স্তম্ভের উপরে দাঁড়িয়ে আছে, সেগুলি হল: অ্যাসেসমেন্ট সাউথ, অ্যাসেসমেন্ট
নর্থ ও টালিগঞ্জ কর বিভাগ। এই তিনটির মধ্যে টালিগঞ্জ কর বিভাগে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির হার চোখে পড়ার মতো। ২০১৯ সালে টালিগঞ্জ কর বিভাগে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ১০০ কোটি টাকারও কম। সেই বিভাগ গত অর্থবর্ষে ১৫০ কোটি টাকার বেশি কর আদায় করে সাফল্যের মুখ দেখেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kolkata Municpal Corporation KMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE