স্ত্রীর আর বাঁচার সম্ভাবনা নেই জেনে তাঁর অঙ্গদান করতে চেয়েছিলেন স্বামী। সেই জন্য শুক্রবার থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় বিভিন্ন স্তরে আর্জিও জানান তিনি। তবে ‘অসহযোগিতা’র জন্য তা-ও সম্ভব হল না বলে সোমবার অভিযোগ করলেন সদ্য স্ত্রীকে হারানো সেই যুবক।
শনিবার বিকেলে পঞ্চসায়রে স্নায়ুরোগের হাসপাতালে মৃত্যু হয় জগদ্দলের বাসিন্দা, বছর তিরিশের তরুণী অঞ্জনা সাহার। পরিবার সূত্রের খবর, রয়েড স্ট্রিটের বেসরকারি নার্সিংহোমে মাড়ির উঁচু ভাব কাটানোর অস্ত্রোপচার করাতে গিয়েই কোমায় চলে যান ওই বধূ। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যে দন্ত চিকিৎসক অনির্বাণ সেনগুপ্তের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করেছেন মৃতার পরিজনেরা। বুধবার রয়েড স্ট্রিটের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সঙ্কটজনক রোগীকে পঞ্চসায়রের বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। সেখানকার চিকিৎসক অঞ্জনাকে পরীক্ষা করে জানিয়ে দেন, রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতির সম্ভাবনা কার্যত নেই।
মৃতার স্বামী সুনীল সাহা জানান, এ কথা জানার পরেই অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। মৃতার পরিবার শুক্রবার স্বাস্থ্য ভবনে দন্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিল। সেখান থেকেই পঞ্চসায়রের হাসপাতাল চত্বরে উপস্থিত বন্ধুদের অঙ্গদানের কী প্রক্রিয়া রয়েছে, তা জানতে বলেন সুনীল। ওই যুবকের অভিযোগ, ‘‘আমার বন্ধুদের বলা হয়, ব্রেন ডেথ ঘোষণার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড বসবে। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে দেখবেন, অঞ্জনার অঙ্গগুলি প্রতিস্থাপনের উপযুক্ত কি না। এ সব করতে অনেক খরচ, যা অঞ্জনার পরিবারকেই দিতে হবে। সন্ধ্যায় আমরা গেলেও একই কথা বলা হয়।’’