বন্ধু: সল্টলেকে ইডি-র দফতরে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার।ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য।
ভিতরে টানা জেরা চলছে বান্ধবীর। তাঁর ব্যাগ কোলে নিয়ে বাইরের সোফায় ঠায় বসে আছেন প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার এই ছবি দেখা গেল সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টটরেট বা ইডি-র দফতরে।
শোভনবাবুর সঙ্গে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক বেশ কিছু দিন ধরেই বহুল চর্চার বিষয়। প্রাক্তন মেয়রের লেনদেন সম্পর্কে তিনি অনেক কিছু জানতে পারেন, এটা অনুমান করেই নারদ ঘুষ কাণ্ডে বৈশাখীদেবীকে ডেকে পাঠিয়ে এ দিন বেলা ১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত জেরা করে ইডি। শোভনবাবুর সঙ্গেই ইডি-র দফতরে যান বৈশাখীদেবী।
ইডি থেকে বেরিয়ে বৈশাখীদেবী বলেন, ‘‘আমাকে শোভনবাবু ও রত্নাদেবীর (প্রাক্তন মেয়রের স্ত্রী) ব্যবসা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আমি যতটা জানি, তদন্তকারীদের জানিয়েছি।’’
দেখুন ভিডিয়ো:
অতি সম্প্রতি মন্ত্রিত্ব ও মেয়র পদ ছেড়েছেন শোভনবাবু। নারদ-কাণ্ডে টাকা নেওয়ার ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধেও অভিযোগ আছে। তা নিয়ে টানাপড়েনের পাশাপাশি শোভন-বৈশাখী ‘বন্ধুতা’র সম্পর্ক সাম্প্রতিক কালে কলকাতা তথা রাজ্যের অন্যতম চর্চিত বিষয়। অভিযোগ, ছদ্মবেশী সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে ২০১৪ সালে ঘুষ নিতে দেখা গিয়েছিল শোভনবাবুকে। তখন তিনি ছিলেন মেয়র। টাকা নেওয়ার ফুটেজ প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই বিষয়ে তদন্তে নামে ইডি। এর আগে শোভনবাবুকেও জেরা করেছে ইডি।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের শুরুতেই ছক্কা দূষণের, হারল কালীপুজোও
ইডি-র জেরার মুখে শোভনবাবু জানিয়েছিলেন, তাঁর সব আর্থিক বিষয় দেখাশোনা করেন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। শোভনবাবু তখনও রত্নাদেবীর বিরুদ্ধে বিবাহবিচ্ছেদ মামলা করেননি। রত্নাদেবীকেও কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। এ দিন রত্নাদেবী বলেন, ‘‘আমার ব্যবসার সব নথিপত্র প্রায় চার মাস আগে ইডি-র কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। ওই সব নথি তদন্তকারীরা যাচাই করেছেন। যদি ফের আমাকে তলব করা হয়, তা হলে আমি ওদের সঙ্গে সহযোগিতা করব।’’
আরও পড়ুন: প্রশিক্ষণের পাঠ ভুলছেন চালক, ভুগছে জনতা
বৈশাখীদেবীকে এ দিনের জেরা বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শোভনবাবু অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy