গৌরী সেন।
আটচল্লিশ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও নেতাজিনগরের প্রৌঢ়া খুনের কোনও কিনারা হল না। শনিবার সকালে নেতাজিনগরে একটি বাড়ি থেকে কম্বল, তোশক, শাড়ি এবং গামছা দিয়ে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হয় গৌরী সেন নামে ওই প্রৌঢ়ার দেহ। পুলিশ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই খুনের মামলা রুজু করেছে। কিন্তু, কে বা কারা ওই প্রৌঢ়াকে খুন করল, তা জানা যায়নি। কলকাতা পুলিশের ডিসি (এসএসডি) ভাদনা বরুণ চন্দ্রশেখর বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে। মৃতার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কে বা কারা খুনের সঙ্গে জড়িত, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলার মতো পরিস্থিতি হয়নি।’’
গত ১ জুন সোনাগাছি এলাকার দুর্গাচরণ মিত্র স্ট্রিটের একটি বাড়ি থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল পুলিশ। প্রায় তিন সপ্তাহ পার হতে চললেও এখনও ওই খুনের কিনারা হয়নি। তার মধ্যেই নেতাজিনগরের এই ঘটনা। স্বভাবতই, এই দু’টি ঘটনার পরে শহরের মহিলাদের নিরাপত্তা ফের প্রশ্নের মুখে। বারবার খুনের ঘটনা ঘটলেও অপরাধী ধরা না পড়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
পুলিশ জানায়, নেতাজিনগরে তিনতলা বাড়ির একতলায় ভাড়া থাকতেন ৬৭ বছরের গৌরী সেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত চার মাস ধরে ওই বাড়িতে একাই থাকতেন গৌরীদেবী। মাঝেমধ্যে এসে থাকতেন তাঁর স্বামী। তবে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, গত দু’মাসে এক বারও তিনি আসেননি। শুক্রবার বাড়িতে একাই ছিলেন গৌরীদেবী। কিন্তু কখন গ্রিল ভাঙা হয়েছে, কখনই বা খুন হয়েছেন ওই প্রৌঢ়া, তা জানতে পারেননি কেউই। পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy