আশা: কিছু কি বাকি আছে? গড়িয়াহাটের ভস্মাবশেষ খুঁজে উদ্ধারের চেষ্টা সেটুকুই। ছবি: রণজিৎ নন্দী
দমকল কিংবা সিইএসসি-র অনুমতি কিংবা ছাড়পত্র নেই। তা সত্ত্বেও অন্য জায়গা থেকে বিদ্যুতের সংযোগ নিয়ে গড়িয়াহাটের সেই অগ্নিকাণ্ডের স্থলে চালু হয়ে গিয়েছে রোলের দোকান। ঘটনায় ক্ষুব্ধ রোলের দোকানের উপরের বহুতলের বাসিন্দারা। গত শনিবার রাতে গুরুদাস ম্যানসন নামে ওই বহুতলেই আগুন লেগেছিল।
ওই অগ্নিকাণ্ডের পরে বহুতলটির একাধিক আবাসিক অভিযোগ তোলেন রোলের দোকানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বেআইনি ভাবে গ্যাস মজুত করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস টেনে ওই রোলের দোকান ও তাদেরই একটি রেস্তোরাঁ চলে। মাঝে মাঝেই পাইপ থেকে গ্যাস লিক করে আবাসনে ছড়িয়ে পড়ে। একাধিক বার অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। ম্যানসনের ওই অংশের মালিক অসিত কুণ্ডুচৌধুরীর অভিযোগ, পিছনের ওই দিকের অংশে জোর করে দোকান তৈরি করে ফেলেছেন হকারেরা।
গুরুদাস ম্যানসনের পুড়ে যাওয়া ১৬১এ রাসবিহারী অ্যাভিনিউ এবং ৪৭ বি গড়িয়াহাট মোড়ের দিকের অংশে রবিবার দুপুরের পর বিদ্যুৎ সংযোগ এলেও পাশের ১৬২ বি রাসবিহারী অ্যাভিনিউ এবং ৪৭এ গড়িয়াহাট রোড অংশের ফ্ল্যাটগুলি এ দিন পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন ছিল। ফলে বাসিন্দাদের প্রশ্ন, কী করে ৪৭ এ গড়িয়াহাট রোডের নীচের তলায় থাকা ওই রোলের দোকানটি বিদ্যুৎ সংযোগ পেল? রোলের দোকানের মালিক শোভন চৌধুরীর দাবি, তিনি বহুতলের পিছনের অংশের অন্য মিটার থেকে বিদ্যুতের সংযোগ নিয়ে দোকান চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘‘সাত দিন দোকান বন্ধ ছিল। তাই পিছনের দিকের অংশে আমার আরও যে তিনটি মিটার রয়েছে সেখান থেকে লাইন নিয়ে আলো জ্বেলেছি। তাতে অন্যায় কী করলাম!’’
তবে বিষয়টি যে বেআইনি হয়েছে তা জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার স্থানীয় ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তিস্তা বিশ্বাস (দাস)। তিনি বলেন, ‘‘এখনও ১৬১বি রাসবিহারী অ্যাভিনিউ ও ৪৭এ গড়িয়াহাট মোড়ের অংশে বিদ্যুৎ-সংযোগের ছাড়পত্র মেলেনি। তাই ওই রোলের দোকান অন্য মিটার থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে ঠিক করেননি।’’
দমকলের অধিকর্তা জগমোহনের কথায়, ‘‘১৬১বি রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের অংশ, ৪৭ এ— দু’টি জায়গাতেই এখনও বিদ্যুৎ সংযোগের অনুমতি দেওয়া হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy