যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
দীর্ঘ টানাপড়েনের পরে কলা বিভাগের অন্য পাঁচটি বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গে ইংরেজিতেও প্রবেশিকা ফিরিয়ে সেই পরীক্ষার দিনক্ষণ (২১ জুলাই) ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ সমাবেশ থাকায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজির ভর্তি-পরীক্ষার দিন পরিবর্তন হতে পারে বলে জানাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। আজ, সোমবার এক বৈঠকে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, ২১ তারিখে ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের জেরে কলকাতা জুড়ে ব্যাপক যানজটের আশঙ্কা আছে। বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মী-সমর্থকদের আনার জন্য বহু বেসরকারি বাস তুলে নেওয়া হবে। মাত্রাছাড়া ভিড় হতে পারে ট্রেনেও। সব মিলিয়ে সাড়ে চার হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারেন। সেই কথা ভেবেই সোমবারের বৈঠকে ওই তারিখের প্রবেশিকা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হতে পারে।
প্রশ্ন উঠছে, ১১ জুলাই যখন ছ’টি বিষয়ের ভর্তি-পরীক্ষার নির্ঘণ্ট ঠিক করা হয়, সেই সময় বিষয়টি মাথায় রাখা হয়নি কেন? বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা বলেন, ‘‘পরে বিষয়টি ভেবে দেখা হয়েছে। তাই সোমবারেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইংরেজির প্রবেশিকা হতে পারে ২৩ জুলাই। বৈঠকের আগে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।’’
ওই কর্তা যা-ই বলুন, প্রবেশিকা পিছোনোর সম্ভাবনা ঘিরে নতুন করে দানা বাঁধছে বিতর্ক। শিক্ষক ও পড়ুয়া দু’পক্ষেরই বিস্তর ক্ষোভ-বিক্ষোভের পরে পরীক্ষার নির্ঘণ্ট ঘোষণায় সামান্য সতর্কতা অবলম্বন করা হবে না কেন, এ বারের বিতর্ক মূলত সেই প্রশ্নকে কেন্দ্র করেই। যে-বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের স্বাতন্ত্র্য ও স্বাধিকার নিয়ে এত স্পর্শকাতর, সেই প্রতিষ্ঠানে স্নাতক স্তরের পঠনপাঠনে যোগ দিতে উন্মুখ ছাত্রছাত্রীদের কথা আরও একটু সহৃদয়তার সঙ্গে কেন ভাবা হবে না, সেই প্রশ্ন উঠছে। শিক্ষা শিবিরের একাংশের বক্তব্য, ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের বিষয়টি নতুন বা আকস্মিক কিছু নয়। একটু সতর্ক থাকলেই প্রবেশিকার দিন ঘোষণার সময়েই ওই দিনটি এড়ানো যেত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy