ছড়িয়ে আছে অ্যাসবেস্টসের টুকরো। সোমবার, বিষ্ণুপুরে। নিজস্ব চিত্র
আচমকা বিস্ফোরণে দোতলা বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়ে টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়ল প্রতিবেশীদের বাড়িতে। সোমবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ শহরতলির বিষ্ণুপুর থানার মঙ্গলা এলাকার সানিপাড়ায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁর বাড়িতে ওই ঘটনা ঘটে, তাঁর নাম সুবিমল সানি। সোমবার রাত পর্যন্ত বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছেন পুলিশকর্তারা। ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, ‘‘সম্ভবত ওই বাড়ির দোতলায় বিস্ফোরক মজুত ছিল। ফরেন্সিক দলকে ডাকা হয়েছে। তার পরেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।’’
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকেই বাড়িটি পুলিশ ঘিরে রেখেছে। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, দোতলায় অ্যাসবেস্টসের একটি শেড ছিল। সেখানেই বিস্ফোরণ হয়েছে। তার তীব্রতা এতটাই ছিল যে, আশপাশের বাড়ির আসবাবপত্রও ভেঙে গিয়েছে। তবে ঘটনার সময়ে সুবিমলবাবুরা বাড়িতে কেউ ছিলেন না।
পুলিশ জানায়, সুবিমলবাবু মাছের ব্যবসা করেন। তাঁর দুই ছেলে। এক জনের মুদির দোকান রয়েছে। আর এক ছেলে দিনমজুর। সুবিমলবাবু স্থানীয় সিপিএম নেতা। এক প্রতিবেশীর কথায়, ‘‘দোতলায় সুবিমলবাবু মাগুর মাছের চাষ করতেন বলে শুনেছি।’’ কিন্তু বিস্ফোরণের বিষয়ে মুখে কলুপ এঁটেছেন প্রতিবেশীরা। গ্রামের পুরুষদেরও কোনও দেখা নেই।
তদন্তকারীরা জানান, একতলার সমস্ত জিনিস ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। কিছুই আর আস্ত নেই। দোতলার শেড টুকরো টুকরো হয়ে আশপাশে ছড়িয়ে গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশের অনুমান, ওখানে বিস্ফোরক মজুত করা ছিল। চার দিকে বারুদের পোড়া গন্ধ। বিস্ফোরণস্থলে কয়েকটি ড্রাম মিলেছে। ওই ড্রামে কোনও রাসায়নিক ছিল কি তা, খতিয়ে দেখা হবে। এই পরিস্থিতিতে ফরেন্সিক দল ছাড়া বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। গৃহকর্তা ও তাঁর ছেলেরা পলাতক বলে জানিয়েছেন পুলিশকর্তারা। বাড়ির মালিকের খোঁজ করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy