Advertisement
০২ মে ২০২৪

কলেজের শৌচাগারে বিস্ফোরণ

পরীক্ষাকেন্দ্রে কড়া নজরদারি চলছে বলে কিছু দিন ধরে অভিযোগ তুলছিলেন পড়ুয়ারা। আর তার জেরে রোজই কলেজের নানা জিনিস ভাঙচুর করা হচ্ছে বলে পরীক্ষার্থীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন কলেজ-কর্তৃপক্ষও।

নিজস্ব সংবাদদাতা শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৬ ০০:৫২
Share: Save:

পরীক্ষাকেন্দ্রে কড়া নজরদারি চলছে বলে কিছু দিন ধরে অভিযোগ তুলছিলেন পড়ুয়ারা। আর তার জেরে রোজই কলেজের নানা জিনিস ভাঙচুর করা হচ্ছে বলে পরীক্ষার্থীদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন কলেজ-কর্তৃপক্ষও। পরীক্ষার শেষ দিনে বড় গোলমালের আশঙ্কায় পুলিশকে খবরও দিয়ে রেখেছিলেন কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষের সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। দুপুর আড়াইটে নাগাদ পরীক্ষা চলাকালীনই বেলঘরিয়ার ভৈরব গাঙ্গুলি কলেজের শৌচাগারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এর জেরে পরীক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। পুলিশের অনুমান, আতঙ্ক ছড়াতে চকোলেট বোমা জাতীয় কিছু ফাটানো হয়। শৌচাগার থেকে আরও দু’টি বোমা মিলেছে। ব্যারাকপুর সিটি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (জোন-২) ধ্রুবজ্যোতি দে বলেন, ‘‘চকোলেট বোমা মনে হলেও জিনিসটি ঠিক
কী তা জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে।’’

কলেজ সূত্রে খবর, সেখানে ব্যারাকপুর রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজ ও পলতা পি এন দাস কলেজের স্নাতক স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার সিট পড়েছে। এ দিন ছিল বি কম-এর পরীক্ষা। কলেজের অধ্যক্ষা মীনাক্ষী রায় জানান, দুপুরে দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা শুরুর পরেই বিস্ফোরণ হয়। শৌচাগার থেকে ধোঁয়া বেরোতে থাকে। পুলিশ বাহিনী নিয়ে আসেন বেলঘরিয়া থানার আইসি দেবর্ষি সিংহ। জানানো হয়, পটকা জাতীয় কিছু ফেটেছে। তাই আতঙ্কের কারণ নেই।

মীনাক্ষীদেবী বলেন, ‘‘কড়া নজরদারির অভিযোগে রোজই ভাঙচুর হচ্ছিল। গোলমালের আশঙ্কায় পুলিশ মোতায়েন করা সত্ত্বেও বোমা ফাটানো হয়। তবে পরীক্ষা নির্বিঘ্নে শেষ হয়েছে।’’ এলাকার বিধায়ক সিপিএমের মানস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘চকোলেট বোমায় এত আওয়াজ হয় না। কলেজে কী ভাবে বোমা এল, তার তদন্ত দরকার।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

toilet college explosion
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE