Advertisement
E-Paper

Sankrit Language: সংস্কৃতে পড়ুয়াদের আগ্রহ বাড়াতে অ্যাড-অন কোর্স

সংস্কৃতে বেথুন স্কুলের আসন সংখ্যা ৪০। অধ্যক্ষা কৃষ্ণা রায় জানাচ্ছেন, এর মধ্যে ১০-১২টি আসন পূরণ হয়।

মধুমিতা দত্ত

শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২২ ০৬:৫৪
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

কোনও কলেজে ভর্তি হচ্ছেন পাঁচ জন, কোথাও বা চার। গত কয়েক বছর ধরে রাজ্যের কলেজগুলিতে যে সব বিষয়ে কম পড়ুয়া ভর্তি হয়েছেন, সেগুলির অন্যতম হল সংস্কৃত। এই পরিস্থিতিতে সংস্কৃত নিয়ে পড়তে যাতে পড়ুয়াদের মধ্যে কিছুটা আগ্রহ তৈরি হয়, সেই বিষয়ে উদ্যোগী হচ্ছে কোনও কোনও কলেজ।

বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত পাঠক্রমের পাশাপাশি সংস্কৃতের সঙ্গে সম্পর্কিত আরও কিছু বিষয় পড়াতে উদ্যোগী হচ্ছে ওই সব কলেজ। অতিরিক্ত এই বিষয়গুলিকে বলা হয় অ্যাড অন কোর্স। সংস্কৃতে অ্যাড অন কোর্স শুরু করতে উদ্যোগী হয়েছে নিউ আলিপুর কলেজ। এই তালিকায় রয়েছে মহেশতলা কলেজও।

নিউ আলিপুর কলেজের অধ্যক্ষ জয়দীপ ষড়ঙ্গী সোমবার জানালেন, অ্যাড অন কোর্স হিসেবেভারতের প্রাচীন লিপি ও তার বিবর্তনের বিষয়টি ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে তাঁদের কলেজে সংস্কৃত বিভাগে পড়ানো হবে। তিন বছরের স্নাতক স্তরের পড়াশোনার সঙ্গে নিখরচায় লিপি এবং প্রাচীন হস্তলিখিত পুথির এই সার্টিফিকেট কোর্স পড়ানো হবে। এর সঙ্গে পড়ুয়াদের বছরে এক বার পুরাতাত্ত্বিক স্থান পরিদর্শনওকরানো হবে। এ ছাড়াও, সংস্কৃত ভাষায় কথা বলা শেখানোর জন্য সংস্কৃত শিবিরের আয়োজন করা হবে। জয়দীপবাবু জানালেন, তাঁদের কলেজে সংস্কৃতে আসন সংখ্যা ৩০। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরেতিন বা চার জন ওই বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘এ বার এই উদ্যোগের পরে সংস্কৃত পড়ার ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীরা হয়তো কিছুটা আগ্রহ দেখাবে।’’

মহেশতলা কলেজের অধ্যক্ষা রুম্পা দাস জানিয়েছেন, তাঁর কলেজের সংস্কৃত বিভাগেও ভর্তির ছবি এর থেকে ভাল নয়। গত বছর ভর্তি হয়েছিলেন পাঁচ জন। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা সংস্কৃতেইতিমধ্যেই অ্যাড অন কোর্স চালু করেছেন।

লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের অধ্যক্ষা শিউলি সরকার জানিয়েছেন, তাঁদের কলেজে সংস্কৃতে আসনসংখ্যা ২৫। গত বছর সেখানে ১৪টি আসন পূরণ হয়েছিল। শিউলিদেবী বলেন, ‘‘আমাদেরও এ বিষয়ে ভাবতে হবে। এই রকম উদ্যোগ আমাদেরও নিতে হবে।’’ তাঁর মত, আগে স্কুলে তৃতীয় ভাষা হিসেবে সংস্কৃত পড়ানো হত। এখন তা আর পড়ানো হয় না। আগে সংস্কৃত যাঁরা পড়তে আসতেন, তাঁরা অনেকেই স্কুলে শিক্ষকতা করার লক্ষ্য নিয়েই পড়তেন। এখন সেই সুযোগ কমে যাওয়ায় সংস্কৃত পড়ার আগ্রহ অনেক কমে গিয়েছে।

সংস্কৃতে বেথুন স্কুলের আসন সংখ্যা ৪০। অধ্যক্ষা কৃষ্ণা রায় জানাচ্ছেন, এর মধ্যে ১০-১২টি আসন পূরণ হয়। আবারদেখা যায়, তার মধ্যে কেউ কেউ অন্য কলেজে চলে যান। তাই এ বার তাঁরা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সংস্কৃতে আসনসংখ্যা কমানোর জন্য আবেদন জানিয়েছেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

sanskrit language
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy