Advertisement
০৭ মে ২০২৪

নলবনে আরও কটেজ

যেখানে থেকে উপভোগ করা যাবে শহরের বুকে এক টুকরো গ্রাম। সাত সকালে জেলেদের সঙ্গে নৌকায় করে মাছ ধরতে যাওয়া, বাঁশের মাচায় বসে ছিপ দিয়ে মাছ ধরা কিংবা পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনার ছবি লেন্সবন্দি করা‌, সবটাই সম্ভব এখানে থাকলে।

এমনই হবে কটেজগুলি। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

এমনই হবে কটেজগুলি। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৮ ০১:২৫
Share: Save:

নলবনকে ঘিরে পর্যটনকেন্দ্র গড়ার কাজটা শুরু হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগেই। মূল উদ্যোক্তা রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগম নলবন থেকে আয় বাড়ায় প্রতি বছর নতুন পরিকল্পনা করার কথা ভাবতে থাকে। গত বছরে নিগম পরীক্ষামূলক ভাবে কয়েকটি কটেজ করেছিল। ভাল লাভ হওয়ায় উৎসাহিত হয়ে আগামী বছর আরও কটেজ তৈরি করতে চলেছে।

যেখানে থেকে উপভোগ করা যাবে শহরের বুকে এক টুকরো গ্রাম। সাত সকালে জেলেদের সঙ্গে নৌকায় করে মাছ ধরতে যাওয়া, বাঁশের মাচায় বসে ছিপ দিয়ে মাছ ধরা কিংবা পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনার ছবি লেন্সবন্দি করা‌, সবটাই সম্ভব এখানে থাকলে। নিগমের এক আধিকারিকের কথায়, “গত এক বছরে চারটি কটেজ থেকেই নিগম আয় করেছে সাত লক্ষ টাকা। এ বার তাই আরও ১০টি এসি কটেজ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

১৬৫ একর জায়গা জুড়ে থাকা নলবন জলাশয়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে কয়েক বছর আগে তৈরি হয়েছিল ভেরি লাগোয়া রেস্তরাঁটি। সেখানে তেল কই, ভেটকি পাতুরি, ট্যাংরার ঝাল থেকে সরষে ইলিশ সবই পাওয়া যায়। নলবনের চারপাশ ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য বছর দু’য়েক আগে চালু হয়েছে ব্যাটারিচালিত গাড়ি। দফতর সূত্রে খবর, বছর চারেক আগে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সেখানে আম, জাম, কাঁঠাল, কাজুবাদাম, সবেদা, আতা, প্রভৃতির চারা লাগানো হয়েছিল। সে সব এখন অনেকটাই বড় হওয়ায় পাখিদের আশ্রয় তৈরি হয়েছে।

মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “নলবন লক্ষ্মী লাভের পথ দেখাচ্ছে। পাশাপাশি, প্রকৃতিপ্রেমীদের আদর্শ জায়গা। বিদেশিদের কাছেও এই জায়গার পরিচিতি ছড়াচ্ছে। এটা দফতরের কাছে সুখবর।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Nalban Tourism
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE