বাড়ির সামনে এক মহিলাকে যৌন হেনস্থা এবং মারধরের অভিযোগ উঠল কয়েক জন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। বাধা দিতে এলে ওই মহিলার স্বামীকেও মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রবিবার রাতে উত্তর কলকাতার এই ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে
গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম রাজা দাস এবং দীপ দে। সোমবার কলকাতার সিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৬ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এই ঘটনায় আরও দুই অভিযুক্ত পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
আদালত সূত্রের খবর, নির্যাতিতার সঙ্গে অভিযুক্তদের পুরনো বিবাদের জেরেই এই কাণ্ড। অভিযোগ, রবিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ
নির্যাতিতা বাড়ির বাইরে আবর্জনা ফেলতে বেরিয়েছিলেন। সেই সময়ে তাঁর উপরে চড়াও হয় অভিযুক্তেরা। মারধর করার পাশাপাশি তাঁর পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয়। তাঁকে আঁচড়েও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার চিৎকারে বাইরে বেরিয়ে এসে তাঁর স্বামী দুষ্কৃতীদের বাধা দিলে তাঁকেও মারধর করা হয়। সোমবার আদালতের বাইরে নির্যাতিতা বলেন, ‘‘কাল রাতে বাড়ির বাইরে ময়লা ফেলতে বেরিয়ে দেখি, অভিযুক্তেরা সেখানে মদ্যপান করছে। তারা আমাকে যৌন হেনস্থা করে। আমার স্বামী বাধা দিতে এলে দুষ্কৃতীরা মদের বোতল দিয়ে মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেয়।’’ নির্যাতিতার স্বামী, পেশায় ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি ওই ব্যক্তি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে রাজা ও দীপকে ধরে পুলিশ।
এ দিন আদালতে নির্যাতিতার আইনজীবী জানান, এই মামলায় বাকি অভিযুক্তেরা পলাতক। তাদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। তাই দুই ধৃতকে ১৪ দিনের পুলিশ
হেফাজতে পাঠানোর আর্জি জানান তিনি। ধৃতদের পক্ষের আইনজীবী
তাঁর মক্কেলদের যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়ার আবেদন জানান। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাবের পরে দুই ধৃতকে পুলিশি হেফাজতে পাঠায় আদালত।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)