এই পোস্টার ছাপিয়েই খোঁজ চলছিল পালিয়ে যাওয়া কুকুরটির।—ফাইল চিত্র।
খুঁজে পাওয়া গিয়েছে ফিফি-কে। গত ২৪ জুন দিল্লি থেকে কলকাতায় খাঁচায় করে নামার পরে ছ’মাসের ওই কুকুরশাবকটি বিমানবন্দরের পণ্য বিভাগ থেকে পালিয়ে যায়। তার পর থেকে একদল যুবক ও যুবতী বিমানবন্দর এলাকা তোলপাড় করে খুঁজতে শুরু করে দেন ফিফিকে। তার খোঁজ দিলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করে পোস্টারও পড়ে।
দিল্লির যে সংস্থার তরফে ফিফিকে দত্তক দেওয়া হয়েছিল, তার সদস্য দ্যুতিস্মিতা দাস বুধবার জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাগুইআটি এলাকায় ফিফিকে দেখতে পাওয়া গিয়েছে বলে খবর আসে তাঁদের কাছে।
দ্যুতিস্মিতা বলেন, ‘‘আমাদের দলটি রাতেই সেখানে পৌঁছে যায়। ভিআইপি রোডে ফিফিকে দেখতেও পাওয়া যায়। কিন্তু ধরতে গেলে সে বিপজ্জনক ভাবে ছোটাছুটি শুরু করে দেয়।’’
দ্যুতিস্মিতা জানিয়েছেন, ভিআইপি রোডের এ-পার থেকে ও-পারে বার বার দৌড়াদৌড়ি শুরু করে ফিফি। পথচারীদের রাস্তা পারাপার ঠেকাতে যে গার্ডরেল দেওয়া রয়েছে, অনায়াসে তার নীচ দিয়ে গলে চলে যাচ্ছিল সে। যাঁরা তাকে ধরতে গিয়েছিলেন, তাঁরা আর ধরতে পারছিলেন না। এ ভাবে ধরতে গেলে দুর্ঘটনারও আশঙ্কা ছিল। তাই দলটি মাঝরাতে ফিরে আসে। বুধবার সকালে আবার সেখানে খাবার নিয়ে গিয়ে কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করার পরে ফিফির দেখা মেলে। খাবারের লোভ দেখিয়ে তাকে শেষ পর্যন্ত ধরা হয়।
নয়ডা থেকে ফিফিকে উদ্ধার করার পরে তাকে দত্তক নিতে চেয়েছিলেন সেখানকারই একটি কলেজের ছাত্রী, কলকাতার বাসিন্দা নীলাঞ্জনা কোঠারি। সেই কারণে দিল্লি থেকে খাঁচায় ভরে ফিফিকে কলকাতায় পাঠানো হয়। কিন্তু ২৪ জুন বিমানবন্দরের পণ্য বিভাগে খাঁচা খুলে ফিফিকে জল খাওয়াতে গেলে সে পালিয়ে যায়। দ্যুতিস্মিতার কথায়, ‘‘ফিফি-র দেখভাল ঠিক মতো হয়নি। সেই কারণে আমরা ওকে দিল্লি ফিরিয়ে নিয়ে যাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy