ফাইল ছবি
নিউ মার্কেটের পুরনো কমপ্লেক্সের (হগ মার্কেট) সংস্কার কী ভাবে হবে, সেই সংক্রান্ত চূড়ান্ত রিপোর্ট চলতি মাসেই পুর কর্তৃপক্ষের কাছে জমা পড়তে চলেছে। শতাব্দীপ্রাচীন এই বাজারটির সংস্কারের জন্য পুরসভার তরফে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ করা হয়েছিল। তাঁরা ইতিমধ্যেই বাজারের সংস্কার সংক্রান্ত যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পূর্ণ করেছেন। এ বার শেষ ধাপের সংস্কারের রিপোর্ট তাঁরা জমা দিতে চলেছেন পুরসভাকে।
প্রসঙ্গত, নিউ মার্কেট গ্রেড ওয়ান তালিকার হেরিটেজ। ফলে হেরিটেজ কাঠামো অক্ষুণ্ণ রেখে কী ভাবে সংস্কার করা হবে, তা চ্যালেঞ্জ বিশেষজ্ঞ দলের কাছে। নিয়ম মতো, শহরের কোনও হেরিটেজ ভবনের সংস্কার-সহ কাঠামোগত যে কোনও কাজের জন্য আগে পুরসভার হেরিটেজ কমিটির অনুমতি নিতে হয়। সেই মতোই যাদবপুরের বিশেষজ্ঞ দলের তরফে নিউ মার্কেট সংস্কারের প্রাথমিক রিপোর্ট হেরিটেজ কমিটির কাছে জমা পড়েছিল। তবে কয়েকটি বিষয়ে প্রশ্ন থাকায় সেই রিপোর্ট সঙ্গে সঙ্গে কমিটির ছাড়পত্র পায়নি। বেশ কিছু সময় ধরে সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়ে বিশেষজ্ঞ দল এবং পুর হেরিটেজ কমিটির মধ্যে ‘মতানৈক্য’ ছিল বলে পুরসভা সূত্রের খবর। তবে সেই পর্ব কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত তা কমিটির অনুমোদন পায়। যদিও কমিটি শর্তসাপেক্ষে সংস্কারের অনুমোদন দিয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
পুরকর্তাদের একাংশের বক্তব্য, নিউ মার্কেটের পুরনো কমপ্লেক্সের কাঠামোগত সংস্কারের ক্ষেত্রে সেখানে রোজ অগুনতি লোকের যাতায়াতের বিষয়টির উপরে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পুরনো কমপ্লেক্সের ছাদের অবস্থা যে বেশ খারাপ, তা সরেজমিন পরিদর্শনে ধরা পড়েছে। সেই কারণে সংস্কার বেশি দেরি হলে যে কোনও সময়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে বার বার সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞেরা।
প্রাথমিক ভাবে ছাদের কয়েকটি জায়গায় জোড়াতাপ্পি দিয়ে মেরামতিও করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাতেও বিপদ কাটেনি। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘আমূল সংস্কার ছাড়া কাঠামোগত ক্ষতি পূরণ সম্ভব নয়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দলের থেকে চূড়ান্ত রিপোর্ট পেলে তবেই বোঝা যাবে, কী ভাবে সংস্কার করা হবে। এমনকি কত খরচ হবে পুরো প্রকল্পে, তা-ও স্পষ্ট হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy