রাসায়নিক মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।—নিজস্ব চিত্র।
ষষ্ঠীর সন্ধেয় ট্যাংরায় রাসায়নিক কারখানায় আগুন! ইতিমধ্যেই দমকলের ৫ টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ইঞ্জিনের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দমকলকর্মীরা।
এ দিন ডি সি দে রোডের ওই কারখানায় ছ’টা নাগাদ আগুন লাগে। ওই কারখানায় প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক সামগ্রী মজুত ছিল। এ ছাড়া কারখানার একাংশে ছাপাখানাও চলত বলে জানা গিয়েছে। দাহ্য বস্তু থাকায় অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার খবর পেয়েই দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এমনকি, ফ্রি স্কুল স্ট্রিটে দমকলের সদর দফতর থেকেও ল্যাডার ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এলাকাটি অত্যন্ত ঘিঞ্জি। ফলে দমকলের গাড়ি পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছে। পুজোর জন্য রাস্তায় যানজট রয়েছে। দমকলের কয়েকটি গাড়ি যানজটে আটকে গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্র খবর।
পুজোর সময় আগুনের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকার বাসিন্দারাও দমকলের সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগিয়েছে। ঘটনাস্থলে দমকল পৌঁছনোর আগেই ওই কারখানার গুদামের একাংশ পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ষষ্ঠীর দুপুরেও মেট্রো বিভ্রাট, রেকে আগুনের ফুলকি-ধোঁয়া, ভোগান্তি যাত্রীদের
আরও পড়ুন: ছুটি গিয়েছে চুরি, পুজোয় রোজই কাজ করেন ওঁরা
ঘিঞ্জি বসতি এলাকায় কারখানাটি নিয়ম মেনে চলছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল না বলে দমকল সূত্র খবর। এখন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে দমকল এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সন্ধে নামার মুখে ওই কারখানায় আগুনের ফুলকি দেখা যায়। গলগল করে ধোঁয়া বেরোতে থাকে। অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তাদের অভিযোগ, দমকলের গাড়ি আসতে দেরি করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy