চলছে অগ্নিযুদ্ধ। বুধবার, সার্কুলার ক্যানাল রোডে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
সপ্তমীর দুপুরে আগুন লেগে ভস্মীভূত হয়ে গেল প্লাইউডের কারখানা। বুধবার বেলা পৌনে একটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে উল্টোডাঙার সার্কুলার ক্যানাল রোডে। পুলিশ ও দমকল জানিয়েছে, আগুনে কারখানাটির প্রভূত ক্ষয়ক্ষতি হলেও কেউ হতাহত হননি।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন পুজোর ছুটি থাকায় বন্ধই ছিল কারখানা। সেখানে আইসক্রিম ও দইয়ের ছোট চামচ-সহ নরম কাঠের নানা ধরনের জিনিস তৈরি হয়। কারখানার ভিতরে মজুত ছিল প্রচুর গাছের ছাল। টিনের ছাউনি দেওয়া ওই কারখানার উপর থেকে এ দিন প্রথমে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। পাশেই বস্তি থাকায় সেখানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সকলে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন। খবর দেওয়া হয় দমকল ও উল্টোডাঙা থানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের চারটি ইঞ্জিন। পরে পাঠানো হয় আরও চারটি।
দমকল সূত্রের খবর, কারখানার যে প্রধান প্রবেশপথ, সেখান দিয়ে কোনও ভাবেই ইঞ্জিন ঢুকতে পারেনি। তাই প্রায় একশো মিটার দূরেই দাঁড়িয়ে ছিল দমকলের গাড়ি। ফলে, আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতেই কিছুটা দেরি হয়ে যায়। ওই দূরত্ব থেকে কারখানায় জল দিতে বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের। স্থানীয়েরাও দমকলের সঙ্গে আগুন নেভাতে নেমে পড়েন। তার পরে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুরোপুরি নেভাতে বিকেল পেরিয়ে যায়। একসঙ্গে অনেক পরিমাণ দাহ্য বস্তু মজুত থাকাতেই এই বিপত্তি ঘটেছে বলে জানিয়েছে দমকল।
আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছিলেন এলাকার কাউন্সিলর, তৃণমূলের অনিন্দ্য রাউত। তিনি বলেন, ‘‘রাস্তায় ব্যাপক যানজট থাকায় দমকলের গাড়ি আসতে একটু দেরি হয়েছিল।’’ সে সময়ে পাশের খাল থেকে এলাকার যুবকেরা জল দিতে শুরু করেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, দমকলের বেশি দেরি হলে বড় বিপদ হতে পারত। কারণ, কারখানা লাগোয়া এলাকাতেই পরপর অনেকগুলি বস্তি রয়েছে। প্লাস্টিকের ত্রিপল ও কাঠের ছাউনি দেওয়া ওই বস্তিতে আগুন ছড়িয়ে পড়লে প্রাণহানির আশঙ্কাও ছিল। তবে, বন্ধ কারখানায় কী ভাবে আগুন লাগল, তা নিয়েই ধন্দে পুলিশ ও দমকল। ওই কারখানায় আদৌ কোনও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান এক পুলিশকর্মী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy