Advertisement
E-Paper

লালবাজারের কাছে এজ়রা স্ট্রিটের আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে, এখনও কাজ করছে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন

দমকলমন্ত্রী জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে কিছু অংশে এখনও আগুন জ্বলছে বলে জানান তিনি। আগুন পুরোপুরি নেবানোর চেষ্টা করছেন দমকল আধিকারিকেরা।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ১২:৫৫
আগুন নেবানোর চেষ্টায় দমকল আধিকারিকেরা।

আগুন নেবানোর চেষ্টায় দমকল আধিকারিকেরা। —নিজস্ব চিত্র।

লালবাজারের কাছে এজ়রা স্ট্রিটের গুদামে আগুন লেগে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল গোটা এলাকায়। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনল দমকল। তবে এখনও আগুন পুরোপুুরি নেবেনি। কাজ করছে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন। প্রথমে ২৫টি ইঞ্জিন আনা হলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর পাঁচটি গাড়ি ফিরে যায়। আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং দমকলের ডিজি। ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন নেবাতে বেগ পেতে হয় দমকলকে।

শনিবার ভোর ৫টা নাগাদ গুদামে আগুন লেগে যায়। বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি এবং প্রচুর বৈদ্যুতিক তার ছিল গুদামে। মজুত করা ছিল অনেক দাহ্য পদার্থ। ফলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ভাল করে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে আকাশ। চারদিক ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ায়। কী ভাবে এই আগুল লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বৈদ্যুতিন সামগ্রী থেকেই আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। কেউ কেউ শর্ট সার্কিটের সম্ভাবনার কথা বলছেন। দমকল এখনও কিছু নিশ্চিত করতে পারেনি।

শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়র জানান, ঘিঞ্জি এলাকায় যত্রতত্র বৈদ্যুতিক তার ছড়িয়ে থাকার কারণে দমকলের গাড়ি ওই এলাকায় ঢোকার ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হবে। বিষয়টির সমাধান করতে আগামী সপ্তাহে পুর কর্তৃপক্ষ, পুলিশ-প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলে জানান মেয়র। দমকলমন্ত্রী জানান, ঘিঞ্জি এলাকার কারণে দমকল আধুনিক হাইড্রলিক মই ব্যবহার করতে পারেনি। ফলে আগুন নেবানোর কাজে খানিক বিলম্ব হয়। ব্যবসায়ীদের নিয়ম মেনে, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আরও মজবুত করে ব্যবসা করার অনুরোধ করেন তিনি।

ওই গুদামে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না বলে মেনে নিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলরও। অভিযোগ, এই সমস্যা দীর্ঘ দিনের। তাই বার বার এখানে আগুন লাগে। কয়েক মাস আগেও এজ়রা স্ট্রিটে এমন অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল, দাবি স্থানীয়দের। শনিবার ভোরের অগ্নিকাণ্ডে কারও প্রাণহানি না হলেও বেশ কিছু মালপত্রের ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি। ওই গুদামে মালপত্র রাখা বড় ব্যবসায়ীদের অনেকেই সেগুলি বাইরে বার করতে পারেননি। কিছু ক্ষণের মধ্যে সব ভস্মীভূত হয়ে যায়। তবে ছোট ব্যবসায়ীরা কিছু মালপত্র কোনও রকমে উদ্ধার করতে পেরেছেন।

Fire Brigade
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy