E-Paper

ট্যাংরায় বাজির আগুনে ভস্মীভূত দু’টি কারখানা

সোমবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ছটপুজো উপলক্ষে ট্যাংরার ওই এলাকায় বাজি ফাটানো চলছিল। হঠাৎ দেখা যায়, এলাকার একটি প্লাস্টিকের কারখানা থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ০৭:৪৫

—প্রতীকী চিত্র।

বাজি থেকে আগুন লেগে ভস্মীভূত হয়ে গেল ট্যাংরার দু’টি ছোট কারখানা। আগুন নেভাতে গিয়ে জখম হন অভিরাম সাউ নামে এক ব্যক্তি। দিনকয়েক আগে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ দিয়ে কালী প্রতিমার বিসর্জনের শোভাযাত্রা যাওয়ার সময়েও বাজির ফুলকি থেকে আগুন লেগে একটি জুতোর কারখানাভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছে, বার বার এমন ঘটা সত্ত্বেও পুলিশ ও প্রশাসনের তেমন নজরদারি নেই কেন?

সোমবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ছটপুজো উপলক্ষে ট্যাংরার ওই এলাকায় বাজি ফাটানো চলছিল। হঠাৎ দেখা যায়, এলাকার একটি প্লাস্টিকের কারখানা থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা অভিজিৎ হাজরা বলেন, ‘‘আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য এলাকার বাসিন্দারাই নেভাতে চলে আসেন। প্লাস্টিকের কারখানার পা‌শে একটি রবারের কারখানাতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে।’’ অভিজিৎ জানান, দমকলে খবর দেওয়ার পাশাপাশি, বালতি বালতি জল ঢালতে শুরু করেন তাঁরা।

আগুনে জল ছেটানোর সময়েই এলাকার বাসিন্দা অভিরামের মাথায় কারখানার ছাদ থেকে জ্বলন্ত টালি ভেঙে পড়ে। বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, দু’টি কারখানাই পুরোপুরি ভস্মীভূত। অভিরামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর মাথায় ব্যান্ডেজ। সারা শরীরে আগুনে ঝলসানোর ক্ষত। অভিরাম বলেন, ‘‘মাথায় সাতটি সেলাই পড়েছে।’’

স্থানীয়দের আগুন নেভানোর চেষ্টার মধ্যেই দমকলের সাতটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয়েরা জানান, আগুন আশপাশে ছড়ানোর আগেই দমকল তা নিয়ন্ত্রণ করায় বড়সড় বিপদ ঘটেনি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Firebreak Fire

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy