এক মহিলা বিচারককে ফোনে উত্যক্ত ও গালিগালাজ করার দায়ে শনিবার পাঁচ বছরের সাজা হল এক যুবকের। সন্দীপ রমন নামে ওই যুবক আদতে হরিয়ানার বাসিন্দা। সরকারি কৌঁসুলি বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানান, তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি আইনেও মামলা হয়েছিল। প্রমাণিতও হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনে রাজ্যে এই প্রথম কারও সাজা হল। জেল হেফাজতের সঙ্গে এক লক্ষ টাকা জরিমানাও করেন আলিপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট সৌগত রায়চৌধুরী। সাইবার বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, ফোনে বা ফেসবুকে মহিলাদের উত্যক্ত করার ঘটনা হামেশাই ঘটে। মামলাও হয়। কিন্তু ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারায় তাতে সর্বোচ্চ তিন বছর সাজা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা হওয়ায় পাঁচ বছর সাজা হয়েছে। আইনজীবীদের অনেকে জানান, এই রায় ভবিষ্যতে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
পুলিশ জানায়, জুনে আলিপুর আদালতের এক মহিলা বিচারক থানায় অভিযোগ জানান, এক পুরুষকণ্ঠ তাঁর চেম্বারে ফোন করে উত্যক্ত করছে। বাংলা ও হিন্দিতে গালিগালাজও করছে। পুলিশ জানতে পারে, হরিয়ানা থেকে ফোন আসছে। জানা যায়, কারনাল থেকে সিমটি কিনতে পাসপোর্টের প্রতিলিপি জমা দেওয়া হয়েছিল। তথ্যে গোলমালের যুক্তি দেখিয়ে সন্দীপের বা়ড়িতে যোগাযোগ করা হয়। পাসপোর্ট অফিসার সেজে ধরা হয় তাঁকে। বাজেয়াপ্ত হয় ফোন। গ্রেফতারের পরে জেল হাজতে ছিলেন তিনি। পুলিশ জানায়, সন্দীপ দাবি করেছিলেন বাংলা জানেন না। পরে দেখা যায়, তিনি দীর্ঘদিন কলকাতায় ছিলেন। বাংলাও জানতেন।
তদন্তে প্রযুক্তিগত জটিলতায় পড়েছিল সরকারপক্ষ। মোবাইল নম্বর মিললেও অভিযুক্তের ফোনের আইএমইআই নম্বরের সঙ্গে টেলিকম সংস্থার দেওয়া আইএমইআই নম্বরের শেষ সংখ্যা মিলছিল না। বিভাসবাবু জানান, এ জন্য টেলিকম সংস্থার এক বিশেষজ্ঞকে আদালতে হাজির করানো হয়। তাঁর দেওয়া প্রযুক্তিগত ব্যাখ্যায় প্রমাণিত হয়, সন্দীপের ফোন থেকেই গালিগালাজ করা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy