Advertisement
১৩ অক্টোবর ২০২৪
Dharmatala

Protest for job: ধর্মতলায় অনশনে বসে অসুস্থ পাঁচ চাকরিপ্রার্থী

এ দিন ওই ধর্না মঞ্চে গিয়ে দেখা যায়, অনশনকারীরা সাদা চাদর গায়ে দিয়ে শুয়ে আছেন। বিক্ষোভকারীরা জানান, মোট পাঁচ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

প্রতিবাদ: ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে শুরু করেছেন অনশন।

প্রতিবাদ: ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে শুরু করেছেন অনশন। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:৫৫
Share: Save:

দ্রুত নিয়োগের দাবিতে ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্না-বিক্ষোভ চলছিলই। এ বার সেই সঙ্গে অনশনও শুরু করলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম থেকে দ্বাদশের শিক্ষকতার জন্য মেধা-তালিকাভুক্ত চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, গত তিন দিন ধরে অনশনের জেরে পাঁচ জন চাকরিপ্রার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ওই আন্দোলনকারীদের এক জন মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, তাঁরা প্রথম দফায় ২৯ দিন ধরে কলকাতা প্রেস ক্লাবের সামনে ধর্না-অনশন করেছিলেন। দ্বিতীয় দফায় সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কের পাঁচ নম্বর গেটের কাছে ধর্না ও ‘রিলে অনশন’ চলে ১৮৭ দিন ধরে। তৃতীয় দফায় ফের গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্না শুরু হয়। সেই ধর্নাও শুক্রবার ১১৭ দিনে পা দিল। এ বার ধর্নার সঙ্গে শুরু হয়েছে আমরণ অনশনও।

মোয়াজ্জেম বলেন, ‘‘সব মিলিয়ে আমাদের ধর্না, অবস্থান এবং অনশন কর্মসূচির ৩৩৩ দিন পূর্ণ হল। এসএসসি-র কর্মকর্তারা আমাদের সঙ্গে বসেছেন। আমাদের দাবির কথা শুনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের নিয়োগের দাবি পূরণ হয়নি। সেই দাবি পূরণ না হলে অনশন চালিয়ে যাব।’’

এ দিন ওই ধর্না মঞ্চে গিয়ে দেখা যায়, অনশনকারীরা সাদা চাদর গায়ে দিয়ে শুয়ে আছেন। বিক্ষোভকারীরা জানান, মোট পাঁচ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘বহু দিন ভাল করে খাওয়া জোটেনি আমাদের। তার মধ্যে আবার কয়েক জন অনশনে বসেছেন। দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন চলায় একটা অবসাদও কাজ করছে। ফলে দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ছেন চাকরিপ্রার্থীরা।’’

এই আন্দোলনের বিষয়ে কথা বলতে এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। উত্তর দেননি মেসেজের।

অন্য বিষয়গুলি:

Dharmatala Job candidates Hunger strike
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE