ইটালির প্রতিনিধিদের কাছ থেকে সম্মাননাপত্র গ্রহণ করছেন টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের প্রধান সত্যম রায়চৌধুরী। —নিজস্ব চিত্র।
ইটালি থেকে সাম্মানিক শিক্ষাবিদের উপাধি পেলেন ভারতের টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর সত্যম রায়চৌধুরী। এই প্রথম কোনও ভারতীয় এই সম্মান লাভ করলেন। ইটালির টুরিন শহরের বিখ্যাত অ্যালবারটিনা অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস সত্যমকে এই সম্মান প্রদান করেছে। ২০২৪ সালের সাম্মানিক শিক্ষাবিদ বিবেচিত হয়েছেন তিনি।
অ্যালবারটিনা অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস ইটালির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রথম সারির প্রতিষ্ঠান। সে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা মন্ত্রক এই প্রতিষ্ঠানের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এই প্রতিষ্ঠানের সম্মান সমগ্র ইউরোপে গুরুত্ব পেয়ে থাকে। এর আগে কোনও ভারতীয় ইটালির এই সম্মান লাভ করেননি। গত ৩ ডিসেম্বর কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে টেকনো প্রধান সত্যমের হাতে তুলে দেওয়া হয় সম্মাননাপত্র।
কলকাতার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অ্যালবারটিনা অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের প্রতিনিধিরা। কলকাতায় ইটালির প্রতিনিধি রিকার্ডো ডালা কোস্টা ছিলেন ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। এ ছাড়াও শিক্ষা ক্ষেত্রের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ছিলেন। গত ৪০ বছর ধরে শিক্ষাক্ষেত্রে সত্যমের অবিস্মরণীয় অবদানকে স্বীকৃতি দিয়েছেন তাঁরা।
সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে রয়েছেন সত্যম। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং অধ্যাপকেরাও অনুষ্ঠানে ছিলেন। উপাধিলাভের পর সত্যম বলেন, ‘‘এই ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এমন একটি সম্মান লাভ করে আমি কৃতজ্ঞ। এটা শুধু আমার ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, শিক্ষা আসলে কতটা শক্তিশালী, এটি তারই প্রমাণ। আমাদের প্রতিষ্ঠানের সকলকে এই সম্মান আমি উৎসর্গ করছি। তাঁরা সবসময় আমার পাশে থেকেছেন। শিক্ষাক্ষেত্রে ভারতীয়দের অসীম সম্ভাবনার বিষয়ে আমার বিশ্বাসকে আরও জোরদার হল।’’
সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শুধু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যই নয়, এই সম্মান সারা দেশের কাছে গর্বের। শিক্ষা এবং সমাজে সত্যম রায়চৌধুরীর অবদান ও তাঁর নেতৃত্বের সাক্ষ্য বহন করছে এই সাম্মানিক শিক্ষাবিদ ২০২৪ উপাধি। আমাদের সকলের কাছে উনি উদাহরণ স্বরূপ। ওঁর সাফল্য আমাদের সাহস জোগায়, অনুপ্রাণিত করে এবং বিশ্বশিক্ষার জগতে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।’’
১৯৮৪ সালে যাত্রা শুরু করে টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ। অশিক্ষা দূর করাই এই গোষ্ঠীর প্রথম এবং প্রধান উদ্দেশ্য। গত কয়েক বছরে এই গোষ্ঠী পূর্ব ভারতের অন্যতম বৃহৎ শিক্ষাগোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে। টেকনো ইন্ডিয়ার অধীনে ১০৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। শিশুস্তর থেকে গবেষণা স্তর পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে জ্ঞান বিতরণ করা হয়। টেকনোর অধীনে রয়েছে মোট ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়, ২০টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ৩৫টির বেশি স্কুল, একটি মেডিক্যাল কলেজ। এ ছাড়া, স্বাস্থ্য, খেলাধুলো, বিনোদন, গণমাধ্যম এবং পর্যটনেও অবদান রয়েছে টেকনো গ্রুপের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy