—প্রতীকী ছবি।
সাত সকালে রাঁচি থেকে শহরে এসে পর পর চুরি করে রাতের বাসে ফেরত। এ রকমই একটা গ্যাঙের হদিশ পেল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। গত ২৩ জানুয়ারি দুপুর বেলা ওয়াটগঞ্জ থানা এলাকার কবিতীর্থ সরণিতে সেনা বাহিনীর অবসর প্রাপ্ত কর্নেল সুরিন্দর পুরির বাড়ি থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকার সোনার গয়না চুরি যায়।
তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকে। তদন্তে নেমে অ্যান্টি বার্গলারি শাখার অফিসাররা একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পান। সেই ফুটেজ থেকে তিন যুবককে সন্দেহভাজন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। দেখা যায় ওই তিন যুবক বাবুঘাটগামী একটি মিনিবাসে উঠছে।
ইতিমধ্যে জানা যায়, ওই দিনই সেনাকর্তার বাড়িতে চুরি হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হাওড়ার গোলাবাড়িতেও ঠিক একই রকম একটি চুরি হয়েছে। সেই চুরির তদন্ত শুরু করে হাওড়া পুলিশ। সেখানেও সিসি ক্যামেরায় দেখা যায় তিন যুবক ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাবুঘাটগামী একটি বাসে উঠছে। এই তথ্য কলকাতা পুলিশ পাওয়ার পরই দুটি ফুটেজ তাঁরা মিলিয়ে দেখেন। দেখা যায়, দুই আলাদা আলাদা ফুটেজে দেখা যাওয়া তিন যুবক একই। সিসি ক্যামেরাতেই ধরা পড়ে ওই তিন যুবক বাবুঘাট থেকে রাঁচিগামী একটি বাসে উঠছে। সেই সূত্র ধরেই সোনু কুমার, মহম্মদ সাজিদ, সেকেন্দর গাজি এবং মন্টু কুমার নামে চার যুবককে রাঁচি এবং আশপাশ থেকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ।
তদন্তে জানা গিয়েছে, এই চার জনই ঝাড়খণ্ডের কুখ্যাত চোর। একাধিক মামলায় পুলিশ তাদেরকে খুঁজছে। জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ডে পুলিশের নজর এড়াতেই তারা কলকাতা বেছে নেয়। আগের দিনের রাতের বাসে রাঁচি থেকে রওনা হত কলকাতা। সকালে পৌঁছেই অপারেশন। তার পর বিকেল বা রাতের বাসে ফের রাঁচি।
আরও পড়ুন: গুজব ও হিংসা রুখতে কড়া দাওয়াই, রাজ্য জুড়ে গ্রেফতার ৪০
আরও পড়ুন: বাড়িতে অনটন, পুত্রবধূর গঞ্জনা, গঙ্গায় ঝাঁপ বৃদ্ধ দম্পতির
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy