হুঁশ ফিরল না ছাত্রীর মৃত্যুতেও। ফের কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠল গ্রেটার ক্যালকাটা গ্যাস সাপ্লাই কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে! শুক্রবার দুপুরে মৌলালি এলাকার ক্রিক রো-য় গ্যাস লিক হওয়ার খবর জানানো হলেও সময়ে সেখানে পৌঁছলেন না তাদের কোনও কর্মী। অভিযোগ, দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর প্রায় তিন ঘণ্টা পরে সংস্থার কর্মীরা গিয়ে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করেন।
গত জানুয়ারি মাসে কলেজ স্ট্রিটের আরপুলি লেনে মৃত্যু হয় প্রেসিডেন্সির ছাত্রী সুমন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর ঘরের পাশ দিয়েই ওই গ্যাস সরবরাহ সংস্থার পাইপ গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, তা থেকে লিক হওয়া বিষাক্ত গ্যাস সুমন্তিকার ঘরে ঢুকলে দমবন্ধ হয়ে ওই ছাত্রী মারা যান।
এ দিন একই ভাবে গ্যাস লিক হচ্ছিল ক্রিক রো-তেও। স্থানীয় সূত্রে খবর, ২৮ এ ক্রিক রো-র সামনেই রয়েছে মাদকাসক্ত কিশোরদের চিকিৎসার একটি হোম। হোমের ওয়ার্ডেন প্রদীপ মণ্ডল জানান, সকাল ১০টা থেকেই হোমের দরজার বাইরে গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। পরে তাঁরা বুঝতে পারেন, কোথাও থেকে গ্যাস বেরোচ্ছে। কিন্তু আশপাশের বাড়িতে গ্যাসের উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসীরা জানান, গন্ধের তীব্রতা ক্রমশ বাড়তে থাকে। মাথা ঘুরতে থাকে হোমের আবাসিকদের। দুপুর দুটো নাগাদ গ্যাস সংস্থার উত্তর জোনে ফোন করলে সেখান থেকে কেউ যাওয়ার আশ্বাস দিয়ে ফোন রেখে দেয় বলে জানান প্রদীপবাবু। বহুক্ষণ কেউ না আসায় পরে হোমের তরফে দরজায় লিখে দেওয়া হয়, ‘গ্যাস লিক হচ্ছে। কেউ ধূমপান করবেন না’। বিকেল ৪টে নাগাদও গ্যাস সংস্থা থেকে কোনও কর্মী না আসায় শেষে প্রদীপবাবু ফোন করেন দমকলে। দমকল আসার পরেই গ্যাস সংস্থার কর্মীরা এসে পাইপলাইনে সরবরাহ বন্ধ করেন। পুলিশের কাছে অবশ্য কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
কিন্তু কেন এত দেরি?
সংস্থার এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘ফোন গিয়েছিল সংস্থার উত্তর জোনে। কিন্তু ক্রিক রো সেন্ট্রাল জোনে। তাই প্রথমে আমাদের কাছে খবর পৌঁছয়নি।’’ তা হলে দোষ কার? পরোক্ষে ওই আধিকারিক মেনে নেন যোগাযোগের ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy