—প্রতীকী ছবি।
বুধবার দুপুর ৩টে বেজে ১৫ মিনিট। বিধান সরণির আর্যকন্যা গার্লস স্কুলে ষষ্ঠ পিরিয়ড তখন সবে শেষ হয়েছে। হঠাৎই বিকট আওয়াজ শুনে ছুটে এসে স্কুলের এক নিরাপত্তারক্ষী দেখেন, স্কুল ক্যাম্পাসের মধ্যেই একতলার মাটিতে পড়ে রয়েছে এক ছাত্রী। সঙ্গে সঙ্গেই গাড়িতে করে তাকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান স্কুল কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে আসে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, স্কুলের তেতলার বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়েছে একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ওই ছাত্রীর মাথায় আঘাত রয়েছে। তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ঘটনার পরে আতঙ্ক ছড়ায় স্কুলের ভিতরে। এ দিনের মতো পঠনপাঠন বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশ ও স্কুল সূত্রের খবর, এন্টালি থানা এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রী বেশ মেধাবী। তাই কী ভাবে এবং কেন এই ঘটনা ঘটল, সেটাই ভাবাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। এক শিক্ষিকার কথায়, ‘‘ও ভাল ছাত্রী ছিল। এমন ঘটনা কেন ঘটল, কিছুই বুঝতে পারছি না।’’ এ দিন হাসপাতালে হাজির ছিলেন স্কুলের কয়েক জন শিক্ষিকাও। স্কুলের টিচার ইন-চার্জ লিপিকা আদিত্য বলেন, ‘‘ওই ছাত্রী পড়াশোনায় ভাল ছিল। বাড়িতে কোনও অশান্তি হওয়ায় এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এর বেশি কিছু জানি না।’’
এ দিন ওই ছাত্রীর বাবা, মা-সহ পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ। সন্ধ্যায় স্কুলের ভিতরে ঘটনার পুনর্নির্মাণও করে পুলিশ। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘তেতলার যেখান থেকে ওই ছাত্রী নীচে পড়েছিল, সেখানটা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ওই ছাত্রীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলে তার বয়ান নেওয়া হবে।’’
অন্য দিকে, মঙ্গলবার রাতে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে যাদবপুরের একটি স্কুলের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় সে একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানিয়েছে, বছরের প্রথম দিন লেখাপড়া করা নিয়ে মায়ের বকুনি খেয়ে
অভিমানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই ছাত্র। তাকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হয়েছেন তার বাবাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy