Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

পুকুরে উদ্ধার বালিকার দেহ

রাতে খাওয়ার পরে দুই বন্ধু শৌচাগারে গিয়েছিল। কিন্তু ঘরে ফেরে এক জন। অভিযোগ, সারা রাত কেটে গেলেও অপর জনের খোঁজ করেনি কেউ। বুধবার সকালে নিখোঁজ সেই মেয়েটির মৃতদেহ উদ্ধার হল পাশের পুকুর থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে, ঠাকুরপুকুরের একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হোমে। মৃতার নাম প্রীতি দাস। তার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই হোমের চার জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঠাকুরপুকুর শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৪ ০১:৫৮
Share: Save:

রাতে খাওয়ার পরে দুই বন্ধু শৌচাগারে গিয়েছিল। কিন্তু ঘরে ফেরে এক জন। অভিযোগ, সারা রাত কেটে গেলেও অপর জনের খোঁজ করেনি কেউ। বুধবার সকালে নিখোঁজ সেই মেয়েটির মৃতদেহ উদ্ধার হল পাশের পুকুর থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে, ঠাকুরপুকুরের একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হোমে। মৃতার নাম প্রীতি দাস। তার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই হোমের চার জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত ৪৪ নম্বর মহাত্মা গাঁধী রোডে ১৩৭ জন মেয়েকে নিয়ে একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হোম চালায়। বহু পুরনো হোমটিতে পাঁচ থেকে ১৮ বছর বয়সের মোট ১৩৭ জন আবাসিক থাকে। মূলত অনাথ এবং গরিব শিশু-কিশোরীদের এখানে রেখে পড়াশোনা, কাজ শেখানো হয়।

পুলিশ জানায়, বছর ন’য়েকের প্রীতির বাড়ি ঢাকুরিয়ার পঞ্চাননতলায়। প্রীতির মা সরস্বতী দাস ওই এলাকায় পরিচারিকার কাজ করেন। কিন্তু মেয়েকে পড়ানোর ক্ষমতা নেই বলে ২০১১ সালে তাকে ওই হোমে রেখে এসেছিলেন সরস্বতী। সেখানে প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল প্রীতি। স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে কোনও ভাবে হোম সংলগ্ন পুকুরে পড়ে যায় প্রীতি। বুধবার ভোরে হোমের অন্য আবাসিকেরা তাকে পুকুরে ভাসতে দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিত্‌সকেরা প্রীতিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

হোমের এক আবাসিক জানায়, রাতে খাওয়ার পরে আর এক আবাসিকের সঙ্গে বেরিয়েছিল প্রীতি। শৌচাগারে যাওয়ার কথা বলেছিল তারা। অন্য জন ফিরে এলেও প্রীতি ফেরেনি। পরে সকালে উঠে তারা দেখে, পাশের পুকুরে ভাসছে মেয়েটির দেহ।

কিন্তু রাতে কেন খবর দেওয়া হল না হোমের বড়দের? আবাসিকেরা জানায়, এত বড় জায়গায় অনেকগুলো ‘ডর্মেটরি’ আছে। অনেক সময়েই কেউ কেউ অন্য ঘরে যায় আবার রাতে ফিরে আসে। তাই অনেকে ভেবেছিল, প্রীতি অন্য ঘরে গিয়েছে। রাতে ফিরে আসবে।

মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে হোমে আসেন সরস্বতী। অত রাতে তাঁর মেয়ে পুকুরে গেল কী করে, জানতে চেয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তিনি। লালবাজার সূত্রের খবর, এই অভিযোগের ভিত্তিতে হোমের যুগ্ম-সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক-সহ চার জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই হোমের ভিতরে পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE