Advertisement
০৪ মে ২০২৪

ফাঁকা ফ্ল্যাটে চুরি

দিনেদুপুরে ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে গয়না ও টাকা চুরি করে পালাল দুষ্কৃতীর দল। বুধবার ই এম বাইপাস সংলগ্ন মেট্রোপলিটনের ঘটনা। পুলিশ তদন্তে নামলেও রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

লন্ডভন্ড: চুরির পরে। নিজস্ব চিত্র

লন্ডভন্ড: চুরির পরে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৭ ০১:২২
Share: Save:

দিনেদুপুরে ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে গয়না ও টাকা চুরি করে পালাল দুষ্কৃতীর দল। বুধবার ই এম বাইপাস সংলগ্ন মেট্রোপলিটনের ঘটনা। পুলিশ তদন্তে নামলেও রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন দুপুরে মেট্রোপলিটনের এক আবাসনের একটি ফ্ল্যাটের মালিক অমৃতা ভৌমিক থানায় ওই চুরির অভিযোগ জানান। পুলিশ জানায়, সেখানে স্বামী অনিন্দ্যের সঙ্গে থাকেন অমৃতা। আবাসনেরই আর একটি ফ্ল্যাটে তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি থাকেন। রোজের মতোই এ দিনও সকালে ওই দম্পতি বাড়িতে তালা দিয়ে অফিসে গিয়েছিলেন। দুপুর আড়াইটে নাগাদ পরিচারিকা এসে দেখেন, কোল্যাপসিবল গেটের তালা ভাঙা, দরজা খোলা। তিনিই অমৃতার শ্বশুরকে খবর দেন। তিনি এসে দেখেন, আলমারি ভাঙা, ঘর লণ্ডভণ্ড।

অমৃতা জানান, তাঁর সোনা-হিরের গয়না, দামী ঘড়ি খোয়া গিয়েছে। উধাও কয়েক হাজার টাকাও। তাঁর দাবি, দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে আড়াইটের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার পরে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ যায়। হাজির হন লালবাজারের গোয়েন্দারাও।

পুলিশ সূত্রের খবর, এই ঘটনায় দম্পতির পরিচিত কেউ থাকতে পারে। ফ্ল্যাট কখন ফাঁকা থাকে, সে খবর চোরেদের কাছে ছিল। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, ফ্ল্যাটের কেয়ারটেকার যে সম্প্রতি কাজ ছে়ড়ে দিয়েছেন এবং নতুন কেয়ারটেকার এখনও দায়িত্ব নেননি, তা-ও জানত চোরেরা।

মেট্রোপলিটনের বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেখানে বিভিন্ন নির্মাণস্থলে বাইরের শ্রমিকেরা কাজ করছেন। মাঝেমধ্যেই চুরি হচ্ছে। কিছু দিন আগেই এলাকার আর একটি চুরির ঘটনায় সিসিটিভির তথ্য পুলিশকে দিলেও কেউ ধরা পড়েনি। যদিও পুলিশের দাবি, ওই এলাকায় নিয়মিত টহলদারি চলে। যে ক’টি চুরি হয়েছে, তার তদন্তও চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Flat Gold Ornaments Money Theft
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE