স্কুলবাস ও স্কুলগাড়ির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে এ বার শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযানে নামতে চলেছে পরিবহণ দফতর। এর জন্য তৈরি হচ্ছে পাঁচটি দল। প্রত্যেক দলে মোটর ভেহিক্লস দফতরের ইনস্পেক্টরেরা ছাড়াও থাকবেন পুলিশ আধিকারিকেরা।
সম্প্রতি একের পর এক স্কুলবাস দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী শনিবার নেতাজি ইন্ডোরে স্কুলগাড়ি ও স্কুলবাস সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে এই ঘোষণা করে মন্ত্রী বলেন, ‘‘ওই পাঁচটি দল শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাবে। গাড়িগুলির ফিটনেস যাচাই করা হবে।’’
আপাতত এই উদ্যোগ কলকাতায় শুরু হচ্ছে। তবে
আগামী দিনে জেলাতেও স্কুলগাড়ি পরীক্ষার অভিযান শুরু হবে। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘জেলায় জেলায় স্কুলগাড়ির উপরে নজরদারি বা়ড়াতে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের নির্দেশিকা পাঠানো হবে।’’ স্কুলবাস ও স্কুলগাড়ি চালকদের সচেতনতা বাড়াতে পুলিশের সহায়তায় আগামী অগস্টে কর্মশালা শুরু হচ্ছে।
এ দিনের বৈঠকে স্কুলগাড়ি ও বাস সংগঠনের কর্তাদের বেশ কিছু সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন মন্ত্রী। যেমন, (১) প্রতিটি স্কুলবাস ও গাড়িকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে সমস্ত বৈধ কাগজপত্র জোগাড় করে ফেলতে হবে, (২) বাসের চাকায় রিসোল টায়ার লাগানো যাবে না, (৩) সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিটি গাড়িতে ৩১ জুলাইয়ের
মধ্যে ‘স্পি়ড গভর্নর’ যন্ত্র বসাতে হবে এবং (৪) ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমস্ত স্কুলবাস ও গাড়িতে ‘জিপিএস’ বসাতে হবে। মন্ত্রী জানান, আপাতত কলকাতা ও শহরতলি এলাকার স্কুলবাস ও গাড়িতে ‘জিপিএস’ বসানোর কথা বলা হলেও ‘স্পিড গভর্নর’ সারা রাজ্যের সমস্ত স্কুলগাড়িতেই
চান তিনি।
প্রসঙ্গত মন্ত্রী এ দিন নিজেই জানান, শুক্রবার যে স্কুলবাসটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে, সেটি মুর্শিদাবাদ থেকে এসেছিল। বাসটি ১৫ বছরেরও বেশি পুরনো হওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে এখানে চলছিল, তা নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy