Advertisement
E-Paper

আমপানের ২০ দিন পরেও জল নামেনি আবাসনের

স্থানীয় সূত্রের খবর, ১৯৬০ সালে বিশ্ব ব্যাঙ্কের আর্থিক সহযোগিতায় ওই আবাসন তৈরি হয়। মোট ৭২০টি বাড়িতে বসবাস করেন স্থানীয় চটকল-সহ বেশ কিছু কারখানার শ্রমিকেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২০ ০১:১০
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

ফি বছর বর্ষায় ভুগতে হয় তাঁদের। কিন্তু এ বার সেই ভোগান্তি শুরু হয়েছে বহু আগেই। আমপানের পরে এলাকায় জমে থাকা জল সরেনি এখনও। এই জল-যন্ত্রণা থেকে মুক্তি কবে, তা-ও অজানা খড়দহের পাতুলিয়া সরকারি আবাসনের বাসিন্দাদের।

স্থানীয় সূত্রের খবর, ১৯৬০ সালে বিশ্ব ব্যাঙ্কের আর্থিক সহযোগিতায় ওই আবাসন তৈরি হয়। মোট ৭২০টি বাড়িতে বসবাস করেন স্থানীয় চটকল-সহ বেশ কিছু কারখানার শ্রমিকেরা। তাঁরা জানান, আবাসনের চার পাশে আগে ধানচাষ হত। পরে সেই জমিতে বসতি গড়ে ওঠে। তাই আবাসনের জমিটি আশপাশের তুলনায় নিচু হয়ে গিয়েছে। ফলে প্রতি বছর বর্ষায় গোটা এলাকার জল সেখানে জমা হয়।

স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, এ বছর আমপানের জেরে এলাকা জলমগ্ন হয়ে দুর্ভোগ আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রায় প্রতিটি ঘরে ঢুকেছে পাঁক গোলা জল। বাড়ির সামনেও জমে নোংরা জল, তাতে ভাসছে কচুরিপানা থেকে আবর্জনা। সেই জল ঠেলে যাতায়াত করতে গিয়ে চর্মরোগ হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা প্রশান্ত গড়গড়ি বলেন, ‘‘গোটা এলাকার নোংরা-আবর্জনা জলে ভাসছে। সাপের উৎপাত বেড়েছে।’’

বাসিন্দারা জানান, আবাসনের এক দিক খড়দহ পুরসভা, এক দিক ব্যারাকপুর পুরসভা এবং আর একটি দিক পাতুলিয়া পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে। বর্ষার জল বার করতে পাম্প চালায় সেচ দফতর। সেই জল বড় নিকাশি নালায় ফেলা হয়। ব্যারাকপুরের মহকুমা শাসক আব্দুল কালাম আজাদ ইসলাম বলেন, ‘‘জল বার করতে ব্যারাকপুর-২ ব্লকের বিডিও দু’টি পাম্প চালিয়েছিলেন। তবে আরও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্পের জন্য দমকলকে চিঠি লিখেছি।’’

Khardaha Patulia
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy