Advertisement
E-Paper

উপাচার্যকে নিগ্রহ, দুই নেত্রীকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ

উপাচার্যকে নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেত্রীকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। মঙ্গলবার বড়িশার বিবেকানন্দ কলেজে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুগত মারজিত সহ অধ্যক্ষা এবং শিক্ষিকাদের নিগ্রহের ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছিল মূলত বহিরাগতদের দিকেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা:

শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৬ ১৪:১১

উপাচার্যকে নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেত্রীকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।

মঙ্গলবার বড়িশার বিবেকানন্দ কলেজে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুগত মারজিত সহ অধ্যক্ষা এবং শিক্ষিকাদের নিগ্রহের ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছিল মূলত বহিরাগতদের দিকেই। কলেজের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা গিয়েছে বিক্ষোভকারীদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন যে ছাত্রী তিনি কলকাতারই দেশবন্ধু গার্লস কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদা খাতুন।

শুধু তাই নয়, কলেজের মূল দরজার সামনে উপাচার্যের গাড়ি আটকে যে ছাত্রী সুগতবাবুকে ধাক্কা দেয় তিনিও দেশবন্ধু কলেজেরই টিএমসিপির সহকারী সাধারণ সম্পাদক টিঙ্কু দাস। এই বিষয়টি সামনে আসার পরেই অস্বস্তিতে পড়ে শাসকদলের ছাত্র সংগঠন। উপাচার্যের নিগ্রহের নিন্দা করেই বুধবার টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র জানিয়েছিলেন, দল এই বিষয়ে কড়া ব্যবস্থাই নেবে। বৃহস্পতিবার দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী দুই বছরের জন্য সাধারণ সম্পাদক এবং সহকারী সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ওয়াহিদা এবং টিঙ্কুকে। পাশাপাশি উপাচার্যকে নিগ্রহের ঘটনার জন্য শো-কজও করা হয়েছে তাঁদের।

এ দিন অশোক রুদ্র বলেন, ‘‘এই ঘটনা নিন্দনীয়। দল কোনওভাবেই এই আচরণ মেনে নেবে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল।’’ বুধবার অভিযুক্ত এই দুই নেত্রী ফোন বন্ধ করে রেখেছিলন, খোঁজ পাওয়া যায়নি বাড়িতেও। বৃহস্পতিবারও ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি টিঙ্কু এবং ওয়াহিদার সঙ্গে। গোটা বিষয়টিতে এই দলীয় পদক্ষেপের প্রশংসাই করে উপাচার্য সুগত মারজিত বলেন, ‘‘একটি সংগঠিত দলের (তৃণমূল) মধ্যে থেকে এই ঘটনা ভীষণই নিন্দনীয়। তবে দল যে পদক্ষেপ করেছে তা প্রশংসনীয়।’’ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়েই নিজেকে ‘সরকারের লোক’ জানিয়েছিলেন সুগত। সেই শাসকদলেরই নেতৃত্বের হাতে মঙ্গলবার নিগৃহীত হতে হয়েছে তাঁকে। বিষয়টির অবশ্য অন্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন উপাচার্য। ‘‘আমি এখনও নিজেকে সরকারের লোকই বলবো। সরকারই আমার নিয়োগ করেছে। কিন্তু এই ঘটনা যাঁরা ঘটিয়েছে তাঁরা সরকারের নয়, শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের লোক।’’

ওই নেত্রীদের দলীয় পদ থেকে বরখাস্ত করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কী কোনও পদক্ষেপ করবে এই বিষয়ে? উপাচার্য জানিয়েছেন, সিন্ডিকেটের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ‘‘ব্যক্তি সুগত মারজিতকে নয়, এটা উপাচার্যকে অপমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অবমাননা হয়েছে। আমরা একটি তদন্ত কমিটি তৈরি করবো। অভিযুক্তরা যে দলেরই হোক না কেন কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’—বলেন উপাচার্য। বুধবারই তিনি জানিয়েছিলেন সমস্ত বিষয়টিই আসলে রাজনৈতিক সংস্কৃতিরই ফসল মাত্র। তবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হলে প্রশাসকদেরই যে এগিয়ে আসতে হবে সে কথাই বৃহস্পতিবার স্পষ্ট জানিয়েছেন সুগতবাবু।

আরও পড়ুন-ফেল করে উটকো দাবি, সুগতকে নিগ্রহ ছাত্রীদের

sugata marjit tmcp calcutta university wahida
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy