Advertisement
E-Paper

পুলিশ, হাঁটো তো দেখি!

ভুঁড়ি বাড়ছে। কিন্তু পুলিশ করছেটা কী? ভুঁড়ি কমাতে কতটা সচেষ্ট তারা? ফের প্রশ্নের মুখে কলকাতা পুলিশ। কনস্টেবলরা দিনে গড়ে এক কিলোমিটারও হাঁটেন কি?

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৭ ০১:১৯

ভুঁড়ি বাড়ছে। কিন্তু পুলিশ করছেটা কী? ভুঁড়ি কমাতে কতটা সচেষ্ট তারা? ফের প্রশ্নের মুখে কলকাতা পুলিশ।

কনস্টেবলরা দিনে গড়ে এক কিলোমিটারও হাঁটেন কি? পুলিশের শারীরিক সক্ষমতা ও মানসিক সতর্কতা সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে শুক্রবার রাজ্যের কাছে এ প্রশ্নের উত্তর চেয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে। আগের শুনানিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ পুলিশের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে স্বরাষ্ট্রসচিব ও পুলিশের ডিজি-র হলফনামা চেয়েছিল। বিচারপতি মাত্রে এ-ও জানতে চান, পুলিশকর্মীদের উচ্চতা ও দেহের ওজনের ভারসাম্য বজায়ের পরীক্ষা নিয়মিত হয় কি না।

এ দিন স্বরাষ্ট্র দফতরের দুই কর্তার হলফনামা পেশ করেন সরকারি কৌঁসুলি তপন মুখোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, শারীরিক ভাবে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতার পুলিশ কমিশনার যথেষ্ট সক্ষম।

বিচারপতি মাত্রে মন্তব্য করেন, ‘‘বাকিরা (পুলিশকর্মীরা) ডিজি, সিপি-কে অনুসরণ করেন না কেন?’’ তপনবাবুকে প্রশ্ন করেন, ‘‘কনস্টেবলরা দিনে গড়ে এক কিমি হাঁটেন কি? দুর্ভাগ্যবশত, নিচুতলার পুলিশকর্মীদের ভুঁড়ি কমছে না!’’

ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন স্বরাষ্ট্র দফতরকে নির্দেশ দিয়েছে, কলকাতা পুলিশ এলাকার দু’টি থানা বেছে কর্মীদের ‘ডিউটি রোস্টার’ সংক্রান্ত রিপোর্ট কোর্টে দিতে হবে। রিপোর্টে জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট থানার কর্মীদের শারীরিক সক্ষমতা ও মানসিক সতর্কতা সংক্রান্ত কী কী পরীক্ষা হয়? স্বাস্থ্য পরীক্ষা কত দিন অন্তর হয়? পুলিশকর্মীদের প্রশিক্ষণ-সূচিও জানাতে হবে ওই রিপোর্টে। তিন সপ্তাহে ডিভিশন বেঞ্চে ওই রিপোর্ট দিতে হবে।

Culcutta High Court fitness report pot-bellied policemen
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy