(আজকের তারিখে গুরুত্বপূর্ণ কী কী ঘটেছিল অতীতে, তারই কয়েক ঝলক দেখতে ক্লিক করুন— ফিরে দেখা এই দিন।)
আরও পড়ুন: বিষে খুন! এনআরএসে দেহ ১৬ কুকুরছানার
রবিবার হাসপাতালে১৬ ষোলটি কুকুর ছানার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে এন্টালি থানার পুলিশ। অভিযোগ জানিয়েছেন একাধিক পশুপ্রেমী এবং কয়েকটি পশুপ্রেমী সংগঠন। পাশাপাশি থানায় হাসপাতালের সুপার নিজেও একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁরাও ওই ভিডিয়োটি পেয়েছেন। তাঁরা সেই ভিডিয়ো খতিয়ে দেখছেন। রবিবারের কুকুর ছানাদের মৃত্যুর সঙ্গে ওই ভিডিয়োর কী যোগ সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্মী এবং আবাসিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে ওই দুই মহিলাকেও।
অন্যদিকে গতকালের ওই ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় সমালোচনায় মুখর হয়েছেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ।
আরও পড়ুন: তিন বছর পার, এখনও চলছে সাম্বিয়ার বিচার
এই দু’জন মহিলাই লাঠি নিয়ে আঘাত করেছেন কুকুরছানাদের। —নিজস্ব চিত্র।
রবিবার বিকেলে যে পশুপ্রেমীরা প্রথম পৌঁছেছিলেন হাসপাতাল চত্বরে, তাঁদের একজন পায়েল গুহ। তিনি বলেন,“আমরাও ভিডিয়ো দেখেছি। পাশের নার্সিং হস্টেলের ছাত্রীদের দেখিয়েছি। তাঁরা দু’জনকে চিহ্নিত করেছেন।” পায়েল-সহ অন্য পশুপ্রেমীদের দাবি, নার্সিং হস্টেলের জুনিয়র ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে বেশ কিছু সূত্র তাঁরা পেয়েছেন। তা পুলিশকেও জানানো হয়েছে। তাঁদের সন্দেহ এই ঘটনার সঙ্গে যোগ রয়েছে নার্সিং হস্টেলের কিছু ছাত্রীর।
আরও পড়ুন: মুখ ঢাকা শালে, উদ্ধার তরুণীর ঝুলন্ত মৃতদেহ
এ দিকে এ দিন সকালেই বেলগাছিয়ার পশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ষোলটি কুকুর ছানার দেহ। সেখানে ময়না তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অনেকগুলি কুকুর ছানার মাথায় এবং দেহে আঘাতের চিহ্ন আছে। মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়েছে অনেক গুলি ছানার। তার সঙ্গে বিষ খাওয়ানো হয়েছে কি না, তা ময়না তদন্তের পর জানা যাবে। পুলিশ হাসপাতাল চত্বরের মধ্যে সিসি ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করেছে।
(কলকাতা শহরের রোজকার ঘটনার বাছাই করাবাংলা খবরপড়তে চোখ রাখুন আমাদেরকলকাতাবিভাগে।)