হুঁশ ফিরল মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর। এত দিন ‘বিপজ্জনক’ শিয়ালদহ উড়ালপুলের নীচেই দিব্যি জমিয়ে ব্যবসা করছিলেন কারবারীরা। এবার তাঁদের বুক কাঁপছে। তা সত্ত্বেও পেটের দায়ে সেতুর তলা থেকে সরতে চাইছেন না অধিকাংশ ব্যবসায়ী।
ইংরেজিতে স্নাতক হয়েও চাকরি পাননি বাপি নাথ। বাবার হাত ধরেই ছোটবেলা থেকে বিছানার চাদর বিক্রি করেনতিনি। এখন তাঁর দোকানে তিন জন কর্মচারী। বাপি পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, “চাকরি পাইনি বলেই তো এখানে হকারি করছি। ব্রিজের স্বাস্থ্য খারাপ হলে নিশ্চয়ই ঠিক করতে হবে। কিন্তু আমার উপর অনেকেই এখন নির্ভরশীল। এখান থেকে চলে গেলে খাব কী? সব দিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।”
এখানকার হকাররা প্রশাসনের উদাসীনতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। অভিযোগ, মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করছে সরকার। আর হবে নাই বা কেন? পুরসভার কোষাগারে তো টাকাও ঢুকছে। ভাড়া দিয়ে শিশির মার্কেটের প্রায় ১ হাজার ব্যবসায়ী পাকা দোকান করে রয়েছেন। আমাদের কোনও ভবিষ্যৎ নেই।