সোনাগাছিতে খুনের পরে আততায়ীরা আলমারি ভাঙারও চেষ্টা করেছিল, এমনটাই জানালেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা।
যে ঘরে খুন হয়, শুক্রবার দুপুরে সেখান যায় ফরেন্সিক বিভাগের একটি দল। পুলিশ জানায়, রক্তের নমুনা, আলমারির ভাঙা হাতলে থাকা আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা। পুলিশ জানায়, জোরে মুচড়ে দেওয়ার ফলেই আলমারির হাতলটি ভেঙেছে। পুলিশের সন্দেহ, খুনের পরে ঘর থেকে টাকা লুঠ করার চেষ্টা হয়েছিল। এ দিন আলমারির ভিতরে একটি ক্যাশবাক্স থেকে ৮০০ টাকা মিলেছে বলে জানায় পুলিশ।
সোমবার রাতে হাড়কাটা গলির যৌনপল্লি থেকে দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে সোনাগাছির নীলমণি মিত্র স্ট্রিটে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের আশ্রয়ে রাখা হয়। বুধবার সেই ঘর থেকেই ওই সংগঠনের কেয়ারটেকার কবিতা রায়ের মাথা থেঁতলানো দেহ মেলে। তখন থেকেই নিখোঁজ দুই কিশোরী। তাদের হদিস পেতে হন্যে হয়ে ঘুরছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বনগাঁর বাসিন্দা ওই দুই নিখোঁজ কিশোরী দশম শ্রেণির পড়ুয়া। শুক্রবার এক কিশোরীর বাড়ি গিয়ে জানা যায়, তার বাবা মারা গিয়েছেন। মা ও দাদার সঙ্গে সে মামাবাড়িতে থাকে। তার পরিবার জানায়, সোমবার বন্ধুর বাড়িতে যাবে বলে বেরিয়েছিল সে। অনেক পরেও না ফেরায় ওই বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে পরিজনেরা জানতে পারেন, সেখানে যায়নি মেয়েটি। পরিজনেরা জানান, এর পরেই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ফোন পান তাঁরা। বুধবার এসে মেয়েদের ফেরত নিয়ে যেতে বলেন সংগঠনের কর্তারা। সেই থেকে মেয়ের আর খোঁজ মেলেনি। আর এক কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে কারও দেখা মেলেনি। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই কিশোরীর বাবা জেলে রয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy