স্ত্রীকে খুন করার পরে পালিয়ে গিয়ে টাকা চেয়ে এক আত্মীয়কে ফোন করেছিল সে। আর সেই সূত্রেই খুনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম শুভেন্দু ঘোষাল ওরফে বাপ্পা। শুক্রবার রাজাবাজার থেকে তাকে ধরে পুলিশ। তার সঙ্গে চার বছরের ছেলেও ছিল।পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার ঠাকুরপুকুরের জায়গির ঘাট রোডে বাপ্পার স্ত্রী বান্টি ঘোষালের দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে পুলিশ জানায়, গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে তাঁকে খুন করে বাপ্পা। এর পর থেকেই চার বছরের ছেলে-সহ বেপাত্তা হয়ে যায় সে। নিজের মোবাইল বন্ধ করে বাপ্পা দিঘা চলে যায়। শুক্রবার সকালে টাকার দরকার হলে অন্য এক জনের ফোন থেকে রাজাবাজারে এক আত্মীয়কে ফোন করে সে। পুলিশের দাবি, তাঁরা বাপ্পার সব আত্মীয়ের উপরে নজর রাখছিলেন। সেই মতো দুপুরে কলকাতায় ফিরে ওই আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে পুলিশের জালে আটকে যান বাপ্পা।তদন্তকারীরা জানান, সন্দেহের বশে আগেও বাপ্পা স্ত্রীকে ছুরি মেরে খুন করার চেষ্টা করেছিল। ধৃতকে জেরার পরে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বান্টির মোবাইলে একটি ফোন আসা নিয়ে বচসা হয় দু’জনের মধ্যে। তখন বাপ্পা গামছা দিয়ে পিছন দিক থেকে বান্টির গলায় ফাঁস দেয়। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বাপ্পা আগেই স্ত্রীকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল। তাই নিজেদের ছ’বছরের ছেলেকে ঠাকুরমার কাছে রেখে এসেছিল সে। স্ত্রীকে খুনের পরে ছেলেকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে বাপ্পা দিঘা পালিয়ে যায় বলে দাবি তদন্তকারীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy