প্রতীকী ছবি।
এক গৃহবধূকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার হল স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে সোনারপুরের উকিলা লস্কর পাড়ায়। ধৃতের নাম সুলতান লস্কর। মৃত মহিলার নাম নাসিরা বিবি (২৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রের খবর, বছর পাঁচেক আগে ডায়মন্ড হারবারের উস্তির বাসিন্দা নাসিরার সঙ্গে
উকিলা লস্কর পাড়ার সুলতানের বিয়ে হয়। তাঁদের একটি তিন বছরের ছেলেও রয়েছে। মাঝেমাঝেই তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন কারণে অশান্তি হত। শুক্রবার দুপুরেও ঝামেলা হয়। সেই সময়ে নাসিরার বাপের বাড়ির লোক থাকায় গোলমাল থেমে যায়। শনিবার তাঁরা চলে যেতেই ফের গোলমাল শুরু হয়।
তদন্তকারীরা জেনেছেন, বচসা চলাকালীনই ঘর থেকে হাঁসুয়া এনে তিন বছরের ছেলের সামনে উঠোনেই স্ত্রীকে হাতে ও গলায় এলোপাথাড়ি কোপ মারে সুলতান। হাঁসুয়ার আঘাতে নাসিরার শরীর থেকে মাথা পুরো বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আর্তনাদে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা ও শ্বশুর হানিফ লস্কর। স্ত্রীর দেহ ফেলে রেখে রক্তমাখা হাঁসুয়া হাতেই আশপাশে ঘুরে বেড়াতে থাকে সুলতান। তাকে গ্রামবাসীরাই ধরে ফেলেন। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে।
এ দিন এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, সুলতানের অ্যাসবেস্টসের চাল দেওয়া রান্নাঘরের সামনের উঠোনে তখনও রক্ত পড়ে রয়েছে। প্রতিবেশীরা জানান, চোখের সামনে এমন নৃশংস ঘটনা দেখে তিন বছরের ছেলে নইম কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, সুলতান অসম্ভব জেদি। পাড়ায় কারও সঙ্গে কথা বলত না সে। নাসিরা ছিলেন খুবই মিশুকে।
পুলিশ জানিয়েছে, নাসিরার ননদ হাসপাতালে ভর্তি। সেখানেই রয়েছেন শাশুড়ি রাবিয়া বিবি। ননদকে দেখতে দিন তিনেক আগে নাসিরার মা এবং ভাই-বোন উকিলা লস্কর পাড়ার বাড়িতে আসেন। নাসিরার পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যাতেও নাসিরাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে সুলতান তাঁকে চলে যেতে বলে। এমনকি নিজের মাকেও মারতে গিয়েছিল সে।
নাসিরার মা মাসুদা বিবির অভিযোগ, ছ’মাস ধরে নাসিরার উপরে শারীরিক নির্যাতন চালাত সুলতান। সম্প্রতি একটি বিবাহ বহিভূর্ত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সে। তা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গোলমাল লেগেই থাকত। নাসিরা এর প্রতিবাদ করায় তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিজনেরা।
খুনের কারণ জানতে আটক করা হয়েছে শ্বশুরকে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy