পচা, বাসি, জীবাণু ভর্তি খাবার মেলায় রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুরসভা কেড়ে নিয়েছে ট্রেড লাইসেন্সও। কিন্তু, দমদমের মতিঝিল রোডের সেই রেস্তোরাঁর মালিক বরুণ চৌধুরী ফিনল্যান্ড ও সুইডেনে জমিয়ে বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ চালাচ্ছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে রাজ্য পুলিশের এনফোর্সমেন্ট শাখা (ইবি)। এমনকী একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ষাট ছুঁই ছুঁই ওই ব্যক্তি এখন ফিনল্যান্ডের নাগরিক। ইবি জানাচ্ছে, এই তথ্য পাওয়ার পরেই ইন্ডিয়া লর্ড রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যারাকপুর আদালতে চার্জশিট পেশ শেষ মুহূর্তে আটকে গিয়েছে।
ফিনল্যান্ড, সুইডেনের মতো ইউরোপীয় দেশে খাবারের দোকান বা রেস্তোরাঁ চালানোর ক্ষেত্রে কঠোর ভাবে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা দস্তুর। যিনি ওই সব দেশে রেস্তোরাঁর মালিক, তাঁরই দমদমের রেস্তোরাঁয় মুরগির ঠ্যাঙে কলিফর্মের মতো ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া, খোয়া ক্ষীরে ফর্মালিনের মতো বিষাক্ত রাসায়নিক কী ভাবে থাকে, সেটা ভেবে বিস্মিত তদন্তকারীরা। এক অফিসারের কথায়, ‘‘ওই সব দেশের তুলনায় আমরা যে খাবারের ব্যাপারে কতটা উদাসীন, সেটা বোঝা যাচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতর, খাদ্য দফতর, পুরসভা এবং আমাদের তোয়াক্কা না করে কত রেস্তোরাঁ যে এমন অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি করছে, তার হিসেব কে রাখে!’’
ইবি জেনেছে, দমদমের বাসিন্দা বরুণ নয়ের দশকে একটি রেস্তোরাঁয় চাকরি পেয়ে ফিনল্যান্ড পাড়ি দেন। তবে কোন শহরে, সেটা এখনও