তৃণমূলের দুই শিবিরের মধ্যে গোলমালে উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ দমদমের জপুরে। দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর সুচরিতা দাস অভিযোগ করেন, সোমবার রাতে বিনা প্ররোচনায় তাঁর স্বামী-সহ চার জনকে মারধর করে বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলর সঞ্জয় দাসের অনুগামীরা। সুচরিতাদেবীর স্বামী তাপস দাস জানান, ওই রাতে সাড়ে আটটা নাগাদ তিনি স্থানীয় তৃণমূল কর্মী তন্ময় সাহা, সুব্রত বসু, অপু কুণ্ডুদের সঙ্গে কালীবাড়ি রোডে বসেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, আচমকা একদল ছেলে হকি স্টিক, লাঠি হাতে হামলা চালায়। চেয়ার ভাঙচুরের পাশাপাশি তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়। ছিনতাই করা হয় সুব্রতর হার। তাপসবাবুর দাবি, তাঁর হাত ও পিঠে চোট লেগেছে। হামলার কারণ প্রসঙ্গে সুচরিতাদেবীর বক্তব্য, তাঁরা দলের পুরনো কর্মী। কিন্তু এলাকায় রাজনীতি করতে গেলে কাউন্সিলরের ‘রোষে’র মুখে পড়ছেন।
যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে সঞ্জয়বাবু জানান, দু’টি ক্লাবের গোলমালকে রাজনীতির রং দেওয়া হচ্ছে। রবিবার পঞ্চাননতলায় গৌরব দাস নামে এক জন আড্ডা মারছিলেন। কেন অন্য পাড়ার ছেলে আড্ডা মারছে, এই প্রশ্নে বিল্টু সমাদ্দার নামে এক জন মত্ত অবস্থায় গৌরবকে মারধর করে বলে অভিযোগ। গৌরবের বাবা পুলিশে অভিযোগ করেছেন, মারধরে অপু কুণ্ডু ইন্ধন জুগিয়েছে। সেই ঘটনার জেরে সোমবার রাতে কথা কাটাকাটি থেকে দু’পক্ষে মারধর হয়েছে বলে জানান সঞ্জয়বাবু। পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে। তদন্ত চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy