থমকে: মিছিলের জেরে যানজটে রুদ্ধ শহরের পথ। শনিবার, শিয়ালদহে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
এক দিকে বামেদের শান্তি মিছিল ও অন্য দিকে ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষে ভক্তদের পদযাত্রা— শনিবার এই দুইয়ের জেরে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেল মধ্য ও উত্তর কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। দুপুরে প্রায় হাজার তিনেক মানুষ বামেদের এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। এর জেরে মধ্য ও উত্তর কলকাতার একাংশ যানজটের কবলে পড়ে। বিকেলের পর থেকে ধর্মীয় পদযাত্রার জেরে যশোর রোড, দমদম রোড-সহ উত্তর শহরতলির বেশ কিছু প্রধান রাস্তা যানজটে রুদ্ধ হয়। এর জেরে নাকাল হন অফিস ফেরত যাত্রীরা। যানজটে দীর্ঘ ক্ষণ বাসে আটকে থেকে অনেকেই মেট্রো ধরতে যান। কিন্তু প্রচণ্ড ভিড় মেট্রোতেও। ফলে চরমে ওঠে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর দু’টো নাগাদ বামেদের মিছিলটি মৌলালির রামলীলা ময়দান থেকে শুরু করে এ জে সি বসু রোড ধরে শিয়ালদহ উড়ালপুল, মহাত্মা গাঁধী রোড, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ হয়ে মহাজাতি সদনে পৌঁছয়। সেই সময়ে প্রায় ঘণ্টা দুই ওই পথে যানজট হয়। দক্ষিণমুখী বেশ কিছু গাড়ি অন্য রাস্তায় ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। যার ফলে যানজটের কবলে পড়ে এস এন ব্যানার্জি রোড, লেনিন সরণি, মানিকতলা মেন রোড, বিবেকানন্দ রোডও। মানিকতলার এক অফিসযাত্রী বিদিশা মৈত্র বলেন, ‘‘মানিকতলা মেন রোডে বাস প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট দাড়িয়ে ছিল। শেষে বাস থেকে নেমে হেঁটে গিরিশ পার্কের মোড়ে এসে দেখি, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে কোনও গাড়ি নড়ছে না। বাধ্য হয়ে মেট্রো ধরার জন্য গিরিশ পার্ক স্টেশনে নামি। সেখানেও দেখি, প্ল্যাটফর্মে থিকথিক করছে ভিড়। আমার মতো অনেকেই বাস থেকে নেমে মেট্রো ধরতে এসেছেন।’’ এর পরেও অবশ্য ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তার দাবি, ‘‘গিরিশ পার্ক থেকে দক্ষিণমুখী গাড়িগুলি বিকেবেকান্দ রোড ধরে ঘুরিয়ে দেওয়ায় চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের যানজট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে।’’
অন্য দিকে, বিকেল হতে না হতেই উত্তর কলকাতায় শুরু হয়ে যায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষে পদযাত্রা। যশোর রোড সংলগ্ন এলাকার মানুষদের অভিযোগ, ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বানানো মঞ্চ অনেক জায়গাতেই রাস্তার উপরে চলে এসেছে। যার জেরে সকাল থেকেই যানজটে ভুগতে হয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের। সন্ধ্যা থেকে ওই অনুষ্ঠানে বাড়ে ভিড়। দলে দলে মানুষ রাস্তার এক ধার দিয়ে হেঁটে যাওয়ায় শ্লথ হয় যানবাহনের গতি। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাত আরও বাড়লে কার্যত থমকে যায় যানবাহন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy