Advertisement
E-Paper

হোটেলে চুরির পরিচয়পত্র

হোটেলে যে ভোটার কার্ডের প্রতিলিপি জমা দিয়েছিল অভিযুক্ত, শম্ভুকুমার গুপ্তের নামের সেই কার্ডটি বিহারের দেওঘর থেকে চুরি হয়েছিল মে মাসে। এমনকী চুরির অভিযোগও দায়ের করেছিলেন শম্ভুবাবু। রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডের হোটেলে তরুণী ও শিশু খুনের তদন্তে নেমে এমনটাই জেনেছে পুলিশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৫ ০০:২৯

হোটেলে যে ভোটার কার্ডের প্রতিলিপি জমা দিয়েছিল অভিযুক্ত, শম্ভুকুমার গুপ্তের নামের সেই কার্ডটি বিহারের দেওঘর থেকে চুরি হয়েছিল মে মাসে। এমনকী চুরির অভিযোগও দায়ের করেছিলেন শম্ভুবাবু। রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডের হোটেলে তরুণী ও শিশু খুনের তদন্তে নেমে এমনটাই জেনেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার এক তরুণী এবং শিশুকে নিয়ে ওই হোটেলে এসেছিলেন অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। পরের দিন হোটেলের ঘর থেকে ওই মহিলা ও শিশুর দেহ মেলে। হোটেলে জমা ছিল ওই ব্যক্তির দেওয়া শম্ভুকুমার গুপ্ত নামে ভোটার কার্ডের প্রতিলিপি। তাতে ঠিকানা দেখেই তাঁর সন্ধানে পুলিশের একটি দল নালন্দার শিলাও-এ যায়। সেখানে শম্ভুকুমার গুপ্ত নামের বেশ কয়েকজনের খোঁজও মেলে। তবে তাঁদের মধ্যে এক জন পুলিশকে জানান, মে মাস নাগাদ মাদক মেশানো কিছু খাইয়ে বেহুঁশ করে তাঁর ভোটার কার্ডটি চুরি করে এক দুষ্কৃতী। পুলিশের অনুমান, ওই দুষ্কৃতীই রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডের হোটেলে জোড়া খুনের সঙ্গে যুক্ত। কারণ হিসেবে তদন্তকারীরা বলছেন, হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহের পাশেও মিলেছিল ঘুমের ওযুধ। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টেও ঘুমের ওযুধের প্রমাণ মিলেছে এবং চুরি যাওয়া ভোটার কার্ডটিরই প্রতিলিপি মিলেছে ওই হোটেলে।

তদন্তকারীরা জানান, যে ব্যক্তির ভোটার কার্ড চুরি গিয়েছে, তিনিও সঠিক তথ্য দিয়েছেন কি না তা খতিয়ে দেখতে ওই দুষ্কৃতীর খোঁজ করা হচ্ছে। এ কাজে সাহায্য নেওয়া হচ্ছে স্থানীয় পুলিশের। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, ওই শম্ভুনাথ গুপ্তকে জেরা করলেই প্রকৃত ওই যুবকের খোঁজ মিলতে পারে।

জানা গিয়েছে, প্রথমে ওই দুষ্কৃতী বাকিদের নিয়ে নিউ মার্কেটের একটি হোটেলে যায়। সেখানকার সিসিটিভি দেখে পুলিশ জানায়, ওই দিন দুষ্কৃতী লাল শার্ট ও নীল জিনস পরেছিল। ওই ছবি শম্ভুবাবুর কাছে পাঠানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এ দিকে, পুলিশের অনুমান ছিল, অভিযুক্ত ও মৃত দু’জন বিহারের বাসিন্দা এবং তারা সোমবারই কলকাতায় আসেন। তাই তাদের পরিচয় জানতে শুক্রবার শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ। তবে তাদের ছবি মেলেনি।

Investigation murder case park hotel CCTV
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy