ফাইল চিত্র।
জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে পুরনো বাণিজ্যিক গাড়ি ধাপে ধাপে বাতিল করার জন্য কমিটি গঠন করেছে রাজ্য সরকার। গত ডিসেম্বরেই ওই কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। কিন্তু এখনও এ নিয়ে পরিবেশ আদালতের কাছে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করতে পারেনি ওই কমিটি।
রিপোর্ট দাখিল না করতে পারার কারণ হিসেবে কোভিড-১৯-কেই দায়ী করছেন প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কোভিডের কারণে সংশ্লিষ্ট কমিটি নিয়মিত বৈঠক করতে পারেনি বলেই পুরনো গাড়ি বাতিলের রূপরেখা কী হবে, তা নিয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে এখনও আসা যায়নি। তার জন্য আরও কিছুটা সময় লাগবে বলেই প্রশাসন সূত্রের খবর।
যদিও পরিবেশকর্মীদের বক্তব্য, পুরনো গাড়ি বাতিলের প্রক্রিয়া বেশ কয়েক বছর ধরে শুরু হয়েছে। তাই করোনা-সংক্রমণের কারণে তা আটকে রয়েছে, এই দাবি মানতে চাইছেন না তাঁরা। সংশ্লিষ্ট মামলার আবেদনকারী সুভাষ দত্ত বলেন, ‘‘সংক্রমণের ভয় তো সম্প্রতি হয়েছে। কিন্তু এত দিন কী ছিল! আসলে পুরনো গাড়ি বাতিলের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের গাফিলতি রয়েছে। তাই এ সব অজুহাত দিচ্ছে।’’ আর এক পরিবেশকর্মীর কথায়, ‘‘শহরে বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ যে যানবাহনের ধোঁয়া, তা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। তার পরেও পুরনো গাড়ি চলতে দেওয়াটা রাজ্য সরকারের গাফিলতি ছাড়া আর কিছুই নয়।’’
এ দিকে প্রশাসনের তরফে পরিবেশ আদালতে আবেদন করা হয়েছে যে, পুরনো গাড়ি বাতিল করা নিয়ে কমিটির সুপারিশ জমা করতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। কমিটি যদিও এ সংক্রান্ত একটি প্রাথমিক রিপোর্ট পরিবহণ দফতরের কাছে জমা দিয়েছে। কিন্তু পরিবেশ আদালতের অনুমতি পেলে চূড়ান্ত রিপোর্টটি সাপ্লিমেন্টারি হলফনামা হিসেবে জমা দেওয়া হবে। এক প্রশাসনিক কর্তার কথায়, ‘‘এত দিনে পুরনো গাড়ি কী ভাবে বাতিল করা হবে, সে সংক্রান্ত সুপারিশ বা রিপোর্ট তৈরির কাজ অনেকটাই এগিয়ে যেত। কিন্তু কোভিড এসেই সব গোলমাল করে দিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy