মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীরা ৪৫ মিনিট বেশি সময় পায় পরীক্ষা শেষ করার জন্য। কিন্তু নজরদার শিক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, এই পরীক্ষার্থীদের জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কেন বাড়তি সময় দিচ্ছে, অনেক অভিভাবকই তা ঠিক মতো জানেন না। এই অতিরিক্ত সময়ের সুযোগ নিয়ে কোনও কোনও পরীক্ষার্থী অসদুপায় অবলম্বন করছে বলেও অভিযোগ অনেক শিক্ষকের। যদিও এমন পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা বলছেন, নজরদার শিক্ষকদের অতিরিক্ত ৪৫ মিনিট ঘরে থাকতে হয় বলেই তাঁরা এমন অভিযোগ আনছেন।
শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্নেরা ‘রাইটার’ নিয়ে পরীক্ষা দেয়। এই কারণে তাদের জন্য বরাদ্দ থাকে অতিরিক্ত ৪৫ মিনিট। নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষার্থী রাইটারদের প্রশ্নের উত্তর বলবে, তারা সেই উত্তর লিখবে। কিন্তু অভিযোগ, কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, রাইটার নিজের মতো লিখে চলেছে।
নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন ব্লাইন্ড বয়েজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ঘোষ অবশ্য বলেন, ‘‘রাইটার সব সময়ে হবে নিচু ক্লাসের পড়ুয়া। তার পক্ষে মাধ্যমিকের সব খুঁটিনাটি জানা সম্ভব নয়। তার পরেও অভিযোগ ওঠে, রাইটার নিজের মতো লিখে যাচ্ছে। এর ফলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন যে সব ছাত্রছাত্রী সৎ উপায়ে পরীক্ষা দিচ্ছে, তাদের বঞ্চিত করা হয়।’’
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক কর্তা বলেন, ‘‘কোথাও এই নিয়ম অমান্য করা হলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার কাজে যুক্ত শিক্ষকদের পর্ষদকে জানাতে হবে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)