অভিনেতা বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী।—ছবি সংগৃহীত।
চেক বাউন্স হওয়ায় সিনেমা ও টিভি সিরিয়ালের অভিনেতা বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীকে শুক্রবার ছ’মাসের কারাদণ্ড দিলেন আলিপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট শুভদীপ চৌধুরী। তাঁর নির্দেশ, যে টাকা বিশ্বজিৎবাবু ধার নিয়েছিলেন, তা ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত ৩০ শতাংশ টাকা প্রাপককে দিতে হবে।
এ নিয়ে অবশ্য শনিবার কোনও মন্তব্য করতে চাননি ওই অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘‘যা বলার তা আমার আইনজীবী বলবেন।’’
অভিনেতার আইনজীবী সৈকত দত্ত মজুমদার এ দিন জানান, নিয়ম অনুযায়ী কোনও অপরাধে কারও দু’বছর বা তার কম সাজা হলে তৎক্ষণাৎ আদালত তাঁকে জামিনে মুক্তি দেয়। এ ক্ষেত্রেও তাঁর মক্কেল জামিন পেয়েছেন। এক মাসের মধ্যে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল মামলাও দায়ের হবে বলে ওই আইনজীবী জানান।
ঘটনাটি কী? সৈকতবাবু জানান, ধর্মতলার একটি সংস্থার কাছ থেকে ২০১৫ সালে ওই অভিনেতা ব্যক্তিগত কারণে দশ লক্ষ টাকা ধার নেন। সংস্থার কর্তা তথা ব্যবসায়ী দর্শন খামানির অভিযোগ, বিশ্বজিৎবাবু ধার শোধ করতে গিয়ে তাঁকে যে ক’টি চেক দেন, সেগুলি ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার পরে বাউন্স করে। অর্থাৎ, ওই অভিনেতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা ছিল না।
এর পরেই ওই অভিনেতার বিরুদ্ধে আলিপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন দর্শন। সৈকতবাবু জানান, ২০১৭ সালে মামলাটি দায়ের হয়। দু’বছর ধরে তা চলার পরে কিছু দিন আগে শুনানি শেষ হয়। শুক্রবার রায় দেন বিচারক। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, প্রাপ্যের অতিরিক্ত ৩০ শতাংশ ফেরত দিতে হবে। অন্তত ১৪ লক্ষ টাকা এক মাসের মধ্যে ফেরত দিতে হবে ওই ব্যবসায়ীকে। না দিলে আরও ছ’মাসের কারাবাসের নির্দেশ দেবে আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy