Advertisement
২১ মে ২০২৪

ব্যস্ত রাস্তায় বৃদ্ধার গয়না ছিনতাইয়ের অভিযোগ, ধন্দ

একে মহিলার বয়স ৯২ বছর। তার উপরে তিনি একা বাড়ি থেকে বেরিয়ে হেঁটে মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পরেছিলেন সোনার দুল, সোনার হার ও সোনার চুড়ি। আর সেই পথে রবিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ উত্তর কলকাতার বিবেকানন্দ রোডের মতো ব্যস্ত রাস্তায় জনা কয়েক যুবক ওই বৃদ্ধার গলায় ছুরি ধরে সোনার অলঙ্কার ছিনিয়ে নিয়ে গেল বলে অভিযোগ।

সোনিদেবী জায়সবাল

সোনিদেবী জায়সবাল

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৬ ০১:৪৫
Share: Save:

একে মহিলার বয়স ৯২ বছর। তার উপরে তিনি একা বাড়ি থেকে বেরিয়ে হেঁটে মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পরেছিলেন সোনার দুল, সোনার হার ও সোনার চুড়ি। আর সেই পথে রবিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ উত্তর কলকাতার বিবেকানন্দ রোডের মতো ব্যস্ত রাস্তায় জনা কয়েক যুবক ওই বৃদ্ধার গলায় ছুরি ধরে সোনার অলঙ্কার ছিনিয়ে নিয়ে গেল বলে অভিযোগ।

মানিকতলার আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রোডের বাসিন্দা সোনিদেবী জায়সবালের এই অভিযোগ পেয়ে হতভম্ব
পুলিশ অফিসারেরাই। প্রথমত, যে জায়গায় ছিনতাই হয়েছে বলে বৃদ্ধার অভিযোগ সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখেছে, জায়গাটি মোটেই নির্জন নয়। সেখানে বসা হকারদের সঙ্গে কথা বলে এমন কোনও ঘটনার কথাও জানা যায়নি।

সোমবার বিষয়টি নিয়ে বিশদে জানতে লালবাজারেও ডেকে পাঠানো হয় বৃদ্ধাকে। কিন্তু, ধন্দ কাটেনি পুলিশের। তদন্তকারীরা কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছেন। প্রথমত, ৯২ বছরের মহিলাকে একা কেন ছেড়ে দিলেন বাড়ির লোক? চড়া রোদে বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে পায়ে হেঁটে মেয়ের বাড়ি যাওয়ার সময়ে তাঁর শরীরও তো খারাপ হতে পারত? তা ছাড়া সাধারণত, এত গয়না পরে রাস্তায় এখন আর কেউ বেরোন না। সে ক্ষেত্রে ওই বৃদ্ধা কেন এত অলঙ্কার পরে বেরোলেন? তাঁর আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধার পরিবার আর্থিক ভাবে ততটা সচ্ছল নয়। তা হলে এত গয়না পরে রাস্তায় বেরোনোর ঝুঁকি নিলেন কেন তিনি?

আমহার্স্ট থানার পুলিশকে সোনিদেবী জানিয়েছেন, রবিবার মানিকতলার বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি গোয়াবাগানে মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। বিবেকানন্দ রোড ধরে হাঁটার সময়ে কয়েক জন যুবক তাঁর সামনে এসে ছুরি দেখিয়ে গয়না ছিনতাই করে পালায়।

বৃদ্ধার এক নাতি অমিত সোমবার বলেন, ‘‘ছিনতাইয়ের পরে ঠাকুরমা কাঁদতে কাঁদতে আমার পিসির বাড়ি চলে যান। পরে, তিনি বাড়ি ফিরে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় অভিযোগ করেন।’’ অমিতের দাবি, তাঁর ঠাকুরমা শারীরিক ভাবে যথেষ্ট সক্ষম। তিনি একাই আশপাশের রাস্তায় ঘোরাঘুরি করেন। নিয়মিত মেয়ের বাড়িতেও যান। তিনি জন্মাবধি ঠাকুমাকে এ ভাবেই অলঙ্কার পরিহিতা অবস্থায় দেখছেন। গয়না খুলে রাখতে বললে তিনি নিজেও রাজিও হন না বলেও অমিত জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

loot woman
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE