শান্তনুর সঙ্গে দেবাঞ্জন। ফাইল চিত্র।
কসবায় ভুয়ো টিকা শিবির-কাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করলেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-র প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি শান্তনু সেন। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু এবং আইএমএ-র রাজ্য সভাপতি সন্তোষ মণ্ডল শুক্রবার মুচিপাড়া থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগপত্রে জানানো হয়েছে, অতিমারি আবহে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানকে আইএমএ-র তরফে পিপিই কিট, পাল্স অক্সিমিটার, মাস্ক, স্যানিটাইজার দিয়ে সাহায্য করা হয়েছিল। দেবাঞ্জন-সহ কয়েক জন আইএমএ-র দফতরে এসে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে এমন সাহায্য নিয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশকে লেখা অভিযোগপত্রে আইএমএ-র দুই কর্তা জানিয়েছেন, ‘আপৎকালীন পরিস্থিতিতে আমাদের পক্ষে যাচাই করা সম্ভব হয়নি, কোনও সংস্থা ভুয়ো কি না।’
প্রসঙ্গত, পুলিশি তদন্তে ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে, অতিমারি পরিস্থিতির সুযোগে মাস্ক, পিপিই কিট, স্যানিটাইজারের ব্যবসা শুরু করে ‘ফুলেফেঁপে’ উঠেছিলেন দেবাঞ্জন। অবৈধ কারবার রক্ষায় কলকাতা পুরসভার প্রভাবশালীদের সঙ্গে সখ্যও তৈরি করেন তিনি। বিভিন্ন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বেশ কয়েক জন নেতার সঙ্গেও দেবাঞ্জনের পরিচয় ছিল। সেই তালিকায় শান্তনুর নামও উঠেছে।
রাজনৈতিক যোগাযোগ বাড়নোর উদ্দেশ্যেই ‘সমাজসেবা মূলক কাজে’ যুক্ত হন দেবাঞ্জন। মাস্ক, স্যানিটাইজার বিলি করা শুরু করেন। তদন্তে জানা যাচ্ছে, দেবাঞ্জন কলকাতার দু’টি বেসরকারি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলেন। একটা কলকাতা পুরসভার নামে। আর সেই অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে পুরসভার নগর পরিকল্পনা বিভাগের দু’জন আধিকারিকের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। যদিও আদতে সেই দুই আধিকারিকের কোনও অস্তিত্বই নেই ওই বিভাগে। অর্থাৎ ভুয়ো পরিচয়পত্র ব্যবহার করে বেসরকারি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। দেবাঞ্জনের পাশাপাশি তাঁর শাগরেদ শান্তনু মান্নাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy