কলকাতা পুরসভা। ফাইল চিত্র।
গঙ্গাপাড়ের বেহাল দশা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ প্রকাশের পরেই টনক নড়ল কলকাতা পুরসভার। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘মিলেনিয়াম পার্কের আগে প্রিন্সেপ ঘাট নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জায়গাটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে। কেন নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ হবে না? আমাকে বলতে হবে কেন? বাচ্চা না কি, ললিপপ হাতে ধরিয়ে দিতে হবে?’’ তার পরেই মঙ্গলবার সকালে প্রিন্সেপ ঘাট থেকে বাবুঘাট পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেল, আমপানে পড়ে যাওয়া বড় বড় গাছ সরানোর কাজ চলছে। গঙ্গাপাড় পরিষ্কার করছেন একাধিক সাফাইকর্মী। বাতিস্তম্ভে নতুন আলো লাগানো থেকে শুরু করে পেভার ব্লক মেরামতি চলছে।
২০১২ সালে প্রিন্সেপ ঘাট থেকে মিলেনিয়াম পার্ক পর্যন্ত গঙ্গাপাড়ের সৌন্দর্যায়নের কাজ হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, আমপানের পর থেকে তিন বছরে গঙ্গাপাড়ে কোনও সংস্কারের কাজ হয়নি। এ দিন প্রিন্সেপ ঘাটে গিয়ে দেখা গেল, গোটা ঘাট বাঁশ দিয়ে ঘেরা হয়েছে। সামনে আবর্জনার স্তূপ। কচুরিপানা, প্লাস্টিকে ছেয়ে আছে ঘাট সংলগ্ন জল। ঘাটের কাছেই বসে ছিলেন কয়েক জন। তাঁদেরই এক জনের কথায়, ‘‘জায়গাটি সুন্দর। কিন্তু নদীর পাড় নোংরায় ভরে রয়েছে। অবিলম্বে ঘাট পরিষ্কার করা দরকার।’’
প্রিন্সেপ ঘাট ও বাবুঘাটের মধ্যে অজস্র ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ রয়েছে। কিন্তু তার বেশ কয়েকটি ভাঙা। কোথাও আবার আলোই নেই। এ দিন সকাল থেকে সেই সমস্ত বাতিস্তম্ভের মেরামতি ও আলো লাগানোর কাজ শুরু করেছে পুরসভার আলো বিভাগ। মেয়র পারিষদ (আলো) সন্দীপরঞ্জন বক্সী ও মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার সেখানে গিয়ে কাজের তদারকি করেন। সোমবার রাতে প্রিন্সেপ ঘাট থেকে বাবুঘাট পর্যন্ত গঙ্গাপাড় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
উত্তরপ্রদেশের মতো কলকাতাতেও গঙ্গা আরতি শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার জন্য এ দিন বিকেলে বাজেকদমতলা ঘাট পরিদর্শনে যান মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিংহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy