প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে কলকাতা পুরসভার ভোট করানোর দাবি বরাবরই জানিয়ে আসছে বিজেপি। ঘটনাচক্রে, এ ব্যাপারে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অবস্থান জানতে চেয়েছে রাজভবনও। কমিশন সূত্রে এখনও পর্যন্ত যা ইঙ্গিত, তাতে রাজ্য পুলিশই ব্যবহার করা হবে কলকাতা পুর ভোটের নিরাপত্তায়। গোটা প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা হবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের। পুর ভোটের নিরাপত্তা পরিকল্পনা চূড়ান্ত হতে পারে আগামী কাল, সোমবার।
এখনও পর্যন্ত যে পরিকল্পনা পুলিশ প্রশাসনের থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন পেয়েছে, তাতে কলকাতা পুর ভোটে ১৪৪টি ওয়ার্ডের নিরাপত্তায় প্রায় ৩২ হাজার পুলিশ ব্যবহার করা হতে পারে। তার মধ্যে ২৭ হাজার কলকাতা পুলিশ এবং পাঁচ হাজার থাকবে রাজ্য পুলিশ। গত পুর ভোটেও প্রায় একই সংখ্যক বাহিনী ব্যবহার করা হয়েছিল।
কোভিডের কারণে এ বার কলকাতা পুর এলাকায় বুথের সংখ্যা কিছুটা বাড়ছে। মূল বুথ ৪৭৪২ এবং অতিরিক্ত বা অক্সিলিয়ারি বুথের সংখ্যা হবে ৩৮৫। ফলে পাল্লা দিয়ে পুলিশের সংখ্যাও বাড়ানোর পরিকল্পনা করতে হচ্ছে কমিশনকে। এখনও পর্যন্ত যা ভাবনাচিন্তা, তাতে প্রতি বুথে এক জন করে সাব ইনস্পেক্টর (এসআই) এবং এক জন অতিরিক্ত সাব ইনস্পেক্টর (এএসআই) পদমর্যাদার অফিসার থাকবেন। সঙ্গে থাকবেন দু’জন করে সশস্ত্র পুলিশ। লাইন দেখাশোনার জন্য লাঠিধারী কনস্টেবলদের রাখা হতে পারে। কুইক রেসপন্স টিম বা কিউআরটি রাখা হবে দ্রুত কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য। সেই দলে র্যাফকেও ব্যবহার করা হতে পারে। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেরই ধারণা, এখনও পর্যন্ত যা ইঙ্গিত, তাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ডাকার খবর কার্যত নেই।
শনিবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। বিজেপি সূত্রের খবর, এ দিন ১৩৩ এবং ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের প্রার্থী সদানন্দ প্রসাদ এবং মমতাজ আলি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে চিঠি দিয়েছে বিজেপি। দলীয় প্রার্থীরা হুমকি পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে দল। আবার কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কমিশনের কী অবস্থান, তা জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। এর আগে দু’দফায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করে ভোট-প্রস্তুতির তথ্য জানিয়েছিলেন। প্রতি বারই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কমিশনের মনোভাব কমিশনারের থেকে রাজ্যপাল জানতে চেয়েছিলেন বলেই খবর। তবে কমিশন সূত্রের দাবি, অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে যে পদক্ষেপ প্রয়োজন, তা-ই করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy