E-Paper

জমি বাজেয়াপ্তের বোর্ড টাঙাতেই খোঁজ মালিকদের, আদায় কর

শহরের ফাঁকা জমি বরাবরই মাথাব্যথার কারণ পুরসভার কাছে। কারণ, ফাঁকা জমিতে আবর্জনা, জল জমে তা ক্রমশ মশার আস্তানায় পরিণত হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২৩ ০৮:৩০
KMC

শহরের ফাঁকা জমি বরাবরই মাথাব্যথার কারণ পুরসভার কাছে। ফাইল চিত্র।

বকেয়া কর দ্রুত না মেটালে জমি বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে, এই মর্মে বোর্ড টাঙাতেই খোঁজ মিলেছে জমির মালিকদের। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা বকেয়ার কিছু অংশ আদায়ও হয়েছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে এমনটাই খবর।

প্রসঙ্গত, শহরের ফাঁকা জমি বরাবরই মাথাব্যথার কারণ পুরসভার কাছে। কারণ, ফাঁকা জমিতে আবর্জনা, জল জমে তা ক্রমশ মশার আস্তানায় পরিণত হয়। বকেয়া কর দিচ্ছেন না, এমন সম্পত্তির মালিক কে, তা জানা থাকলে কর আদায়ে খুব অসুবিধা হয় না। কিন্তু সমস্যা হয় তখন, যখন সম্পত্তির মালিক কে, সেটাই জানতে পারে না পুরসভা। মালিক কে, জানা না থাকলে বকেয়া করের চিঠি পাঠানো বা আইনি পদক্ষেপ করা যায় না। ফলে, বকেয়া কর বাড়তেই থাকে।

এই পরিস্থিতিতে শহরের ফাঁকা, পরিত্যক্ত জমি বাজেয়াপ্ত করে বকেয়া আদায় করা হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। এর জন্য কিছু জায়গায় বোর্ডও টাঙানো হয়েছিল। পুরসভা সূত্রের খবর, তার পরপরই অনেক জমির মালিক পুরসভায় এসে বকেয়া টাকা দিয়ে গিয়েছেন। এক পদস্থ পুরকর্তার কথায়, ‘‘জমি বাজেয়াপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় অনেক মালিক বকেয়া মিটিয়ে দিয়েছেন।’’

পুর প্রশাসন সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন কর বকেয়া রয়েছে, এমন ফাঁকা ও পরিত্যক্ত জমির মালিকদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা যায়, গত মার্চে তা নিয়ে পুরসভার রাজস্ব ও মূল্যায়ন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মেয়র জানান, দীর্ঘ বছরের বকেয়া করের প্রসঙ্গ সামনে রেখে সংশ্লিষ্ট জমির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। আইনি লড়াইয়ের ফল পুরসভার পক্ষে এলে সেই জমি নিলামে তোলা হবে।

পুর প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, বকেয়া করের সূত্রে সংশ্লিষ্ট করদাতার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার ক্ষমতা পুর কর্তৃপক্ষের রয়েছে। কলকাতা পুর আইনের ২২০-২২১ ধারা অনুযায়ী, বকেয়া করের জন্য অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও বিক্রি করতে পারে পুরসভা। একই ভাবে পুর আইনের ২২১এ এবং ২২১বি ধারা অনুযায়ী স্থাবর সম্পত্তি যথাক্রমে বাজেয়াপ্ত ও বিক্রির পদক্ষেপও করতে পারে তারা।

তবে আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুর আইনের ক্ষমতাবলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হলেও তা বিক্রি করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট জটিলতা রয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, নিলামের থেকে পুরসভার পক্ষে অনেক বেশি সহজ ফাঁকা বা পরিত্যক্ত জমির ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করা। বার বার খোঁজার পরে, বিজ্ঞাপন দিয়েও মালিকদের খোঁজ পাওয়া নাগেলে এই পদ্ধতি গ্রহণ করা যেতেই পারে। তার পরে আইনি সব দিক খতিয়ে দেখে সেই ফাঁকা জমি নিজের প্রয়োজনে ব্যবহারও করতে পারে পুরসভা। সেই অভিযানই শুরু করেছে তারা। আর তার ফলেই পরিত্যক্ত জমির মালিকদের একাংশের খোঁজ মিলেছে!

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

KMC Kolkata Municpal Corporation

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy