Advertisement
০২ মে ২০২৪
Kolkata Municipal Corporation

জঞ্জাল পৃথক করার নীল-সবুজ বালতি লাগছে অন্য কাজে, ক্ষুব্ধ পুরকর্তারা

কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য আলাদা ভাবে রাখার জন্য বাড়িতে বাড়িতে নীল ও সবুজ রঙের বালতি সরবরাহ করা হলেও সেগুলি ঠিক মতো ব্যবহার করা হচ্ছে না।

An image of KMC

কলকাতা পুরসভা। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:০৭
Share: Save:

কলকাতা শহরে পচনশীল এবং অপচনশীল আবর্জনা আলাদা ভাবে সংগ্রহের কাজ ঠিক মতো হচ্ছে না। এর কারণ হিসাবে কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য আলাদা ভাবে রাখার জন্য বাড়িতে বাড়িতে নীল ও সবুজ রঙের বালতি সরবরাহ করা হলেও সেগুলি ঠিক মতো ব্যবহার করা হচ্ছে না। বুধবার এই প্রসঙ্গে পুরসভার মেয়র পারিষদ (কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) দেবব্রত মজুমদার বলেন, ‘‘আবর্জনা পৃথক করার জন্য শহরবাসীকে দু’রকম বালতি দেওয়া হলেও অনেকেই সেগুলি অন্য কাজে ব্যবহার করছেন। আমরা পুরো বিষয়টির উপরে কড়া নজর রাখছি। অভিযোগ হাতেনাতে প্রমাণিত হলে সেই সমস্ত গৃহস্থের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।’’

শহরের পরিবেশ রক্ষায় নানাবিধ পদক্ষেপ করছে পুরসভা। বেশি পরিমাণে গাছ লাগানো, জলাশয় সংরক্ষণ থেকে শুরু করে আবর্জনা ঠিক পদ্ধতিতে সংগ্রহ করার পরে ধাপায় তার পৃথকীকরণের মাধ্যমে অন্য কাজে লাগানোর উপরেও বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। পুরসভা সূত্রের খবর, কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের প্রতিটি বাড়ি থেকে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য আলাদা ভাবে সংগ্রহ করে সেগুলি ধাপায় নিয়ে গিয়ে ফেলতে ব্যাটারিচালিত গাড়ির সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে।

শহরে এখন ৭০০টি এমন ব্যাটারিচালিত গাড়ি রয়েছে, যেগুলির মাধ্যমে বাড়ি থেকে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়। এ দিন মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘বর্জ্য পৃথকীকরণ যাতে ঠিক মতো হয়, তার উপরে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। কলকাতার পরিবেশ বাঁচাতে মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য আরও সুষ্ঠু ভাবে সংগ্রহ করতে নতুন ৩০০টি ব্যাটারিচালিত গাড়ি কেনা হবে দ্রুত।’’

প্রসঙ্গত, শহরের প্রতিটি বাড়িতে গৃহস্থেরা যাতে পুরসভার দেওয়া নীল ও সবুজ বালতি বর্জ্য আলাদা ভাবে রাখার কাজেই লাগান, তা নিশ্চিত করতে গত সপ্তাহে পুরসভার মাসিক অধিবেশনে সমস্ত পুরপ্রতিনিধিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলেছিলেন মেয়র পারিষদ (কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) দেবব্রত মজুমদার। পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বর্জ্য পৃথকীকরণের উদ্যোগ সফল করতে হলে পুরসভার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। না-হলে পরিবেশ বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়বে। বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবে পরিবেশ বিপন্ন। তা ছাড়া, প্রতি বছরই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। অনেকে মারাও যাচ্ছেন। এই অবস্থায় জঞ্জাল পৃথকীকরণের উদ্যোগ একশো শতাংশ কার্যকর করতে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

KMC garbage dump Garbage Van garbage
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE